১১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, “তাদের নাম প্রকাশ করলে ভিকটিমদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। এই কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

গুমে জড়িতরা এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে, ভিকটিমদের দিচ্ছে হুমকি: গুম সংক্রান্ত কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করে গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিটি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমে জড়িত কর্মকর্তাদের অনেকে এখনো ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে’ অবস্থান করছেন এবং তারা ঘটনার শিকার ও সাক্ষীদের ‘ভয়-ভীতি’ দেখিয়ে চলেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিশন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন, “তাদের নাম প্রকাশ করলে ভিকটিমদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। এই কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিচারপতি মইনুল।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

“প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরেছি যে, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

“৫ অগাস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও বহু অপরাধী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে তাদের অবস্থানে থাকায় অনেক জোরালো প্রমাণ ও নিদর্শন ধ্বংস, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানারকম ভীতিকর ও আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”

এসব কর্মকর্তা কারা, তাদের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “যাদেরকে আমরা আইডেন্টিফাই করেছি তাদের নামগুলো আমরা প্রকাশ করছি না। কী জন্যে করছি না, মেইনলি একটা কারণ- ফর দ্যা সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অব দ্যা ভিকটিমস।

“এখনো গুমের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা (পারপিট্রেটর) ভিকটিমদের থ্রেট করতেছে। একজন ভিকটিমকে থ্রেট করা হচ্ছে এমন অডিও রেকর্ডও আছে আমাদের কাছে।”

প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “আপনি চান ওদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ুক? এমনিতেই তারা ট্রমার মধ্যে আছে।

“আমরা ভিকটিম এবং ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। ভিকটিমদের ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে (আইসিটি)। দায়িত্বটা এখন তাদের, আমাদের কাছে তো কোনো মেকানিজম নাই। এখন এটা ট্রাইবুনালের কর্তব্য।”

একই প্রশ্নের জবাবে গুম সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য নূর খান বলেন, “ভিকটিমদের নিরাপত্তা এবং সন্দেহভাজন আসামি যাতে পালিয়ে না যায়, এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে সম্পূর্ণ বিষয়টা চলমান অবস্থায় আমাদের পক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।”

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ‘গুম ও আয়নাঘরের’ বিষয়টি আবার সামনে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে এসে এসব ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে।

কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। পরদিন ওই প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুমের নির্দেশদাতা’ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়।

এরপর ৪ জুন দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেয় কমিশন। সেখানে ‘গুমের’ শিকার ব্যক্তি এবং প্রত্যক্ষদর্শী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে নির্যাতান ও স্বীকারোক্তি আদায়ের সচিত্র বর্ণনা দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামল কমিশনের বিবেচনায় আনা হচ্ছে।

কমিশন এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ পেয়ে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষে দ্বিতীয় প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

গুমের শিকার হওয়ার পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে পেতে কমিশন কী করছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের ফৌজদারী কার্যবিধিতে দুটো বিষয় আছে। একটা হচ্ছে অনুসন্ধান (এনকোয়্যারি), আরেকটা হচ্ছে তদন্ত (ইনভেস্টিগেশন)। আমরা কিন্তু তদন্ত করছি না, আমরা অনুসন্ধান করছি। তদন্তের দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের যে আইসিটি আছে তাদের।

“তদন্ত করা পুলিশের দায়িত্ব। সার্চ হচ্ছে পার্ট অব ইনভেস্টিগেশন, নট পার্ট অব এনকোয়্যারি। আপনাদের মনে রাখতে হবে, সার্চ হচ্ছে অনেক গভীর তদন্ত।”

কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন এসময় বলেন, “আমরা যে একেবারেই সার্চ করছি না তা নয়। কমিশন সার্চের প্রক্রিয়ায় চারটি কাজ করছে। এক নম্বর হচ্ছে পুলিশের কাছে আমরা ১৩১টি কেইস পাঠিয়েছি। যাদের বিষয়ে তদন্ত করা ও তাদের খুঁজে বের করতে বলেছি আমরা।

“দ্বিতীয়ত হচ্ছে, আমরা নিজেরা বিভিন্ন জায়গায় তথ্যের ভিত্তিতে গোপন বন্দিশালাগুলোতে ইনসপেকশনে যাচ্ছি। তৃতীয়ত: ভারতের কারাগারে কতোজন বাংলাদেশি আছে, সেটার তালিকা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি এবং এটা আংশিক পেয়েছি। আমরা সেই নামগুলো আমাদের লিস্টের সাথে মিলিয়ে দেখছি। চতুর্থত বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে যে বাংলাদেশিদের পুশ ইন করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে গুম হওয়া কেউ আছে কী না সেটা মিলিয়ে দেখছি। এমন না যে আমরা সার্চ করছি না। তবে যেটা ইন ডেপথ, সেটা পুলিশ করবে, আইসিটি করবে।”

এখনো তালিকা মিলিয়ে গুম হওয়া কাউকে শনাক্ত করা যায়নি বলে সাজ্জাদ হোসেন জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, “তাদের নাম প্রকাশ করলে ভিকটিমদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। এই কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

গুমে জড়িতরা এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে, ভিকটিমদের দিচ্ছে হুমকি: গুম সংক্রান্ত কমিশন

আপডেট সময় ০৫:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমে জড়িত কর্মকর্তাদের অনেকে এখনো ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে’ অবস্থান করছেন এবং তারা ঘটনার শিকার ও সাক্ষীদের ‘ভয়-ভীতি’ দেখিয়ে চলেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিশন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন, “তাদের নাম প্রকাশ করলে ভিকটিমদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। এই কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।”

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিচারপতি মইনুল।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

“প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরেছি যে, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

“৫ অগাস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও বহু অপরাধী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে তাদের অবস্থানে থাকায় অনেক জোরালো প্রমাণ ও নিদর্শন ধ্বংস, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানারকম ভীতিকর ও আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।”

এসব কর্মকর্তা কারা, তাদের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “যাদেরকে আমরা আইডেন্টিফাই করেছি তাদের নামগুলো আমরা প্রকাশ করছি না। কী জন্যে করছি না, মেইনলি একটা কারণ- ফর দ্যা সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অব দ্যা ভিকটিমস।

“এখনো গুমের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা (পারপিট্রেটর) ভিকটিমদের থ্রেট করতেছে। একজন ভিকটিমকে থ্রেট করা হচ্ছে এমন অডিও রেকর্ডও আছে আমাদের কাছে।”

প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “আপনি চান ওদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ুক? এমনিতেই তারা ট্রমার মধ্যে আছে।

“আমরা ভিকটিম এবং ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। ভিকটিমদের ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে (আইসিটি)। দায়িত্বটা এখন তাদের, আমাদের কাছে তো কোনো মেকানিজম নাই। এখন এটা ট্রাইবুনালের কর্তব্য।”

একই প্রশ্নের জবাবে গুম সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য নূর খান বলেন, “ভিকটিমদের নিরাপত্তা এবং সন্দেহভাজন আসামি যাতে পালিয়ে না যায়, এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে সম্পূর্ণ বিষয়টা চলমান অবস্থায় আমাদের পক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।”

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ‘গুম ও আয়নাঘরের’ বিষয়টি আবার সামনে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে এসে এসব ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে।

কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। পরদিন ওই প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুমের নির্দেশদাতা’ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়।

এরপর ৪ জুন দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেয় কমিশন। সেখানে ‘গুমের’ শিকার ব্যক্তি এবং প্রত্যক্ষদর্শী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে নির্যাতান ও স্বীকারোক্তি আদায়ের সচিত্র বর্ণনা দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামল কমিশনের বিবেচনায় আনা হচ্ছে।

কমিশন এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ পেয়ে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষে দ্বিতীয় প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

গুমের শিকার হওয়ার পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে পেতে কমিশন কী করছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের ফৌজদারী কার্যবিধিতে দুটো বিষয় আছে। একটা হচ্ছে অনুসন্ধান (এনকোয়্যারি), আরেকটা হচ্ছে তদন্ত (ইনভেস্টিগেশন)। আমরা কিন্তু তদন্ত করছি না, আমরা অনুসন্ধান করছি। তদন্তের দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের যে আইসিটি আছে তাদের।

“তদন্ত করা পুলিশের দায়িত্ব। সার্চ হচ্ছে পার্ট অব ইনভেস্টিগেশন, নট পার্ট অব এনকোয়্যারি। আপনাদের মনে রাখতে হবে, সার্চ হচ্ছে অনেক গভীর তদন্ত।”

কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন এসময় বলেন, “আমরা যে একেবারেই সার্চ করছি না তা নয়। কমিশন সার্চের প্রক্রিয়ায় চারটি কাজ করছে। এক নম্বর হচ্ছে পুলিশের কাছে আমরা ১৩১টি কেইস পাঠিয়েছি। যাদের বিষয়ে তদন্ত করা ও তাদের খুঁজে বের করতে বলেছি আমরা।

“দ্বিতীয়ত হচ্ছে, আমরা নিজেরা বিভিন্ন জায়গায় তথ্যের ভিত্তিতে গোপন বন্দিশালাগুলোতে ইনসপেকশনে যাচ্ছি। তৃতীয়ত: ভারতের কারাগারে কতোজন বাংলাদেশি আছে, সেটার তালিকা আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি এবং এটা আংশিক পেয়েছি। আমরা সেই নামগুলো আমাদের লিস্টের সাথে মিলিয়ে দেখছি। চতুর্থত বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে যে বাংলাদেশিদের পুশ ইন করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে গুম হওয়া কেউ আছে কী না সেটা মিলিয়ে দেখছি। এমন না যে আমরা সার্চ করছি না। তবে যেটা ইন ডেপথ, সেটা পুলিশ করবে, আইসিটি করবে।”

এখনো তালিকা মিলিয়ে গুম হওয়া কাউকে শনাক্ত করা যায়নি বলে সাজ্জাদ হোসেন জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম