১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জে ওই সহিংসতার ঘটনায় মোট পাঁচজন মারা গেছেন। আরেকটি হত্যা মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জে ৪ হত্যা মামলা পুলিশের, আসামি আওয়ামী লীগের ৬ হাজার কর্মী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:৩৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় চারদিনের মাথায় চারটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান রোববার দুপুরে বলেন, “প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবার ১৬ জুলাই নিহত চারজনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি হত্যা মামলা করেছে।

শনিবার ১৯ জুলাই রাতে করা প্রতি মামলাতেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাত এক হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। চার মামলায় মোট আসামি ছয় হাজার।

এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যাওয়ার ঘটনাও মামলা হবে বলে জানান ওসি।

গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার ১৫ জুলাই থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

এ সময় রমজান কাজী (১৭) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপর তিন হত্যা মামলার এজাহারের বর্ণনা ও আসামির সংখ্যা একই।

দীপ্ত সাহা (২৭) হত্যা মামলায় বাদী হয়েছেন এসআই শামীম হোসেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দুষ্কৃতকারীরা (বুধবার) বেলা আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় কলেজ মসজিদের পাশে মিলন ফার্মেসির সামনের দীপ্ত সাহা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়েছেন সোহেল রানা মোল্লা (৩০) হত্যা মামলায়। সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লঞ্চ ঘাট এলাকায় আ্ওয়ামী লীগ ও দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে সোহেল রানা আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

একইদিন লঞ্চ ঘাট এলাকার পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে আ্ওয়ামী লীগসহ দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ইমন তালুকদার (১৭) নিহত হ্ওয়ার কথা বলা হয়েছে হত্যা মামলায়। সেই মামলার বাদী হয়েছেন এসআই শেখ মিজানুর রহমান।

 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে ওই সহিংসতার ঘটনায় মোট পাঁচজন মারা গেছেন। আরেকটি হত্যা মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জে ৪ হত্যা মামলা পুলিশের, আসামি আওয়ামী লীগের ৬ হাজার কর্মী

আপডেট সময় ০৫:৩৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় চারদিনের মাথায় চারটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান রোববার দুপুরে বলেন, “প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবার ১৬ জুলাই নিহত চারজনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি হত্যা মামলা করেছে।

শনিবার ১৯ জুলাই রাতে করা প্রতি মামলাতেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাত এক হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। চার মামলায় মোট আসামি ছয় হাজার।

এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা যাওয়ার ঘটনাও মামলা হবে বলে জানান ওসি।

গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার ১৫ জুলাই থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

এ সময় রমজান কাজী (১৭) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপর তিন হত্যা মামলার এজাহারের বর্ণনা ও আসামির সংখ্যা একই।

দীপ্ত সাহা (২৭) হত্যা মামলায় বাদী হয়েছেন এসআই শামীম হোসেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দুষ্কৃতকারীরা (বুধবার) বেলা আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় কলেজ মসজিদের পাশে মিলন ফার্মেসির সামনের দীপ্ত সাহা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়েছেন সোহেল রানা মোল্লা (৩০) হত্যা মামলায়। সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লঞ্চ ঘাট এলাকায় আ্ওয়ামী লীগ ও দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে সোহেল রানা আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

একইদিন লঞ্চ ঘাট এলাকার পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে আ্ওয়ামী লীগসহ দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ইমন তালুকদার (১৭) নিহত হ্ওয়ার কথা বলা হয়েছে হত্যা মামলায়। সেই মামলার বাদী হয়েছেন এসআই শেখ মিজানুর রহমান।

 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম