০৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

‘ঘর ভেঙে গেছে, কিন্তু প্রাণে বেঁচে আছি’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে লন্ডভন্ড হওয়ার শঙ্কায় ছিল সেন্টমার্টিন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে ঝড়টি বাঁক নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে। তবে এর আঁচ কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে দ্বীপটিকে। সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার।

রোববার (১৪ মে) ঝড় শেষে দ্বীপের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বললেন, ‘ভাই বেঁচে গেছি, এবারের মতো। ঘর ভেঙে গেছে, কিন্তু প্রাণে বেঁচে আছি।’ শনিবার রাতে মুঠোফোনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন ৪০ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী। জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে রোববার সকাল ১০টায় শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। বিকেল ৫টায় তা থামে। বাঁচি কী মরি অবস্থার মধ্যে রুদ্ধশ্বাস ৭ ঘণ্টা কাটিয়েছেন দ্বীপে থেকে যাওয়া ৮ হাজার বাসিন্দা।

ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের গলাচিপা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেরিন পার্কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনারপাড়া এলাকায় উদয় কটেজ ও শর্ট কটেজ নামে একতলাবিশিষ্ট দুটি আবাসিক হোটেল ভেঙে পড়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি পুরোপুরি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিনে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ে কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন দাবি করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জোবাইর জানান, দ্বীপের ৫০ শতাংশ ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং আবাসিক হোটেলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সেন্টমার্টিনের তেলপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, বাতাসের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, হোটেল এবং গাছপালা ভেঙেছে। তবে যতটা ভয় পেয়েছিলেন, তত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্টমার্টিনের জনসংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ ঝড়ের আগেই টেকনাফে সরে গিয়েছিলেন। অন্যদের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের মতো মানুষ দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে এবং ৩৭টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে আশ্রয় নেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ঘর ভেঙে গেছে, কিন্তু প্রাণে বেঁচে আছি’

আপডেট সময় ১০:৩২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে লন্ডভন্ড হওয়ার শঙ্কায় ছিল সেন্টমার্টিন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে ঝড়টি বাঁক নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে। তবে এর আঁচ কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে দ্বীপটিকে। সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার।

রোববার (১৪ মে) ঝড় শেষে দ্বীপের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বললেন, ‘ভাই বেঁচে গেছি, এবারের মতো। ঘর ভেঙে গেছে, কিন্তু প্রাণে বেঁচে আছি।’ শনিবার রাতে মুঠোফোনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন ৪০ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী। জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে রোববার সকাল ১০টায় শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। বিকেল ৫টায় তা থামে। বাঁচি কী মরি অবস্থার মধ্যে রুদ্ধশ্বাস ৭ ঘণ্টা কাটিয়েছেন দ্বীপে থেকে যাওয়া ৮ হাজার বাসিন্দা।

ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের গলাচিপা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেরিন পার্কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোনারপাড়া এলাকায় উদয় কটেজ ও শর্ট কটেজ নামে একতলাবিশিষ্ট দুটি আবাসিক হোটেল ভেঙে পড়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি পুরোপুরি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিনে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ে কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন দাবি করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জোবাইর জানান, দ্বীপের ৫০ শতাংশ ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং আবাসিক হোটেলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সেন্টমার্টিনের তেলপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, বাতাসের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, হোটেল এবং গাছপালা ভেঙেছে। তবে যতটা ভয় পেয়েছিলেন, তত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্টমার্টিনের জনসংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ ঝড়ের আগেই টেকনাফে সরে গিয়েছিলেন। অন্যদের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের মতো মানুষ দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে এবং ৩৭টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে আশ্রয় নেন।