১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে যে তথ্য দিলো ভারতের আবহাওয়া অফিস

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:০০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ক্রমেই উত্তরের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। গত ৬ ঘণ্টা ধরে মোখার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে ভারতের দিল্লির মৌসম ভবন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। শুক্রবার (১২ মে) ভোরে ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তারপর গতি পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) দুপুরে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাউকপুরের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মোখার প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১‌৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে যে তথ্য দিলো ভারতের আবহাওয়া অফিস

আপডেট সময় ০৯:০০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ক্রমেই উত্তরের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। গত ৬ ঘণ্টা ধরে মোখার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে ভারতের দিল্লির মৌসম ভবন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। শুক্রবার (১২ মে) ভোরে ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তারপর গতি পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) দুপুরে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাউকপুরের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মোখার প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১‌৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।