১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
ট্রুথ স্যোশালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট শি ও আমার চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি।”

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হয়ে গেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট শি ও আমার চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি।”

এই চুক্তিতে দুটো বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। আর তা হল: চীন যুক্তরাষ্ট্রকে চুম্বক ও বিরল খনিজ সরবরাহ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের অনুমতি দেবে।

এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে শুল্ক বিরোধ নিষ্পত্তিরও বার্তা দিয়ে ট্রাম্প ট্রুথ স্যোশালে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারবে। আর চীন আরোপ করতে পারবে মোট ১০ শতাংশ শুল্ক।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানান, এই ৫৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে রয়েছে- ট্রাম্পের ঢালাওভাবে আরোপ করা ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’শুল্ক, ফেন্টানিল পাচারের জেরে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে আরোপ করা ২০ শতাংশ শুল্ক এবং আগে থেকেই আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক।

বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে সোম ও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিস্তরের বৈঠক হয়। তার পরেই ট্রাম্প চুক্তি হওয়ার ঘোষণা দিলেন।

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার করার পর চীনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় শুল্ক ও বাণিজ্য নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠক হয়েছিল।

এবারের লন্ডনের বৈঠকে সেই জেনিভা বৈঠকে হওয়া সমঝোতা বাস্তবায়নেরই কাঠামো বা রূপরেখায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ- বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক।

তিনি জানান, উভয় দেশ এখন তাদের প্রেসিডেন্টদের অনুমোদনের জন্য এই রূপরেখা উপস্থাপন করবে।

এই রূপরেখায় কী আছে?

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের ফোনালাপের পর হঠাৎ করেই লন্ডনে বৈঠকের আয়োজন করা হয়, যেখানে দুই দেশ একমত হয় জেনিভা চুক্তির বাস্তবায়ন কাঠামো তৈরি করতে।

জেনিভা চুক্তি মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে লাগামছাড়া পাল্টা শুল্ক যুদ্ধ সাময়িকভাবে শান্ত করেছিল। কিন্তু চীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় উত্তেজনা ফের বেড়ে যায় এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে সেমিকন্ডাক্টর সফটওয়্যার ও বিমানসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

লাটনিক বলেন, লন্ডনের চুক্তিতে বিরল খনিজ ও চুম্বক উপাদানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, আর যুক্তরাষ্ট্রও কিছু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ‘সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে’ শিথিল করবে। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

চীনের ভাইস কমার্স মিনিস্টার লি চেংগ্যাংও বলেন, একটি বাণিজ্য কাঠামোতে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে দুই দেশ, যা প্রেসিডেন্টদের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

 

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রুথ স্যোশালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট শি ও আমার চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি।”

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৯:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হয়ে গেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে, এখন কেবল প্রেসিডেন্ট শি ও আমার চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি।”

এই চুক্তিতে দুটো বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। আর তা হল: চীন যুক্তরাষ্ট্রকে চুম্বক ও বিরল খনিজ সরবরাহ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের অনুমতি দেবে।

এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে শুল্ক বিরোধ নিষ্পত্তিরও বার্তা দিয়ে ট্রাম্প ট্রুথ স্যোশালে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারবে। আর চীন আরোপ করতে পারবে মোট ১০ শতাংশ শুল্ক।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানান, এই ৫৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে রয়েছে- ট্রাম্পের ঢালাওভাবে আরোপ করা ১০ শতাংশ ‘পারস্পরিক’শুল্ক, ফেন্টানিল পাচারের জেরে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে আরোপ করা ২০ শতাংশ শুল্ক এবং আগে থেকেই আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক।

বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে সোম ও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিস্তরের বৈঠক হয়। তার পরেই ট্রাম্প চুক্তি হওয়ার ঘোষণা দিলেন।

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার করার পর চীনের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় শুল্ক ও বাণিজ্য নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠক হয়েছিল।

এবারের লন্ডনের বৈঠকে সেই জেনিভা বৈঠকে হওয়া সমঝোতা বাস্তবায়নেরই কাঠামো বা রূপরেখায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ- বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক।

তিনি জানান, উভয় দেশ এখন তাদের প্রেসিডেন্টদের অনুমোদনের জন্য এই রূপরেখা উপস্থাপন করবে।

এই রূপরেখায় কী আছে?

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের ফোনালাপের পর হঠাৎ করেই লন্ডনে বৈঠকের আয়োজন করা হয়, যেখানে দুই দেশ একমত হয় জেনিভা চুক্তির বাস্তবায়ন কাঠামো তৈরি করতে।

জেনিভা চুক্তি মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে লাগামছাড়া পাল্টা শুল্ক যুদ্ধ সাময়িকভাবে শান্ত করেছিল। কিন্তু চীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় উত্তেজনা ফের বেড়ে যায় এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে সেমিকন্ডাক্টর সফটওয়্যার ও বিমানসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

লাটনিক বলেন, লন্ডনের চুক্তিতে বিরল খনিজ ও চুম্বক উপাদানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, আর যুক্তরাষ্ট্রও কিছু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ‘সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে’ শিথিল করবে। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

চীনের ভাইস কমার্স মিনিস্টার লি চেংগ্যাংও বলেন, একটি বাণিজ্য কাঠামোতে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে দুই দেশ, যা প্রেসিডেন্টদের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।