১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
সাত দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে টাকা আদায়ের জন্য রিট আবেদন করা হবে, নোটিসে বলেছেন কালের কণ্ঠের সাবেক ১৩ কর্মী।

‘চেক প্রতারণা’: বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও এমডিকে উকিল নোটিস

সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৬:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (বায়ে) এবং তার ছেলে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।

 

চাকরিকালীন আর্থিক সুবিধা না পেয়ে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির সাবেক ১৩ কর্মী।

কালের কণ্ঠের স্বত্বাধিকারী ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও কালের কণ্ঠের প্রকাশকসহ ছয়জনের কাছে রোববার এ নোটিস পাঠানো হয়।

নোটিসদাতারা হলেন— মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, ফারজানা রশিদ, আবু সালেহ মো. শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার, মো. লতিফুল বাসার (লিমন বাসার), মাহাবুর রহমান মীর ও হানযালা হান।

নোটিসদাতাদের অভিযোগ, কালের কণ্ঠ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে অর্ধশত সাংবাদিককে কোনো নোটিস না দিয়েই ছাঁটাই করা হয়। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন সময় অব্যাহতি নেন। সব মিলিয়ে অর্ধশতাধিক কর্মীর সার্ভিস বেনিফিটের (গ্রাচুয়িটিসহ) টাকা এখনও পরিশোধ করা হয়নি।

এ নিয়ে কালের কণ্ঠর সম্পাদক, প্রকাশক ও বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করে ফল পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ তাদের।

অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো হিসাব করে ২০২৪ সালে ভাগ ভাগ করে তিন থেকে ১০টি পর্যন্ত চেক দেয়। তারা একেক মাসে একেকটি চেক ব্যাংকে জমা দিতে বলে। সে অনুযায়ী জমা দিলেও জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই ও অগাস্ট মাসে চেক ডিসঅনার হয়।

১৩ সাংবাদিকের অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ে গিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে গেলে চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেননি।

তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরপর কয়েক সাংবাদিক নিম্ন আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ সাংবাদিকের পাওনা পরিশোধ করে। বাকিদের আশ্বস্ত করে, দ্রুত টাকা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে সবার চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলে কালের কণ্ঠ কয়েকজন সাংবাদিকের কাছ থেকে চেক নিয়েছে। এরপর সেই চেকগুলো ফেরত দেওয়া হয়নি, মেয়াদও বাড়ানো হয়নি।

নোটিসদাতাদের একজন হানযালা হান বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন। দুজনের মামলায় গ্রপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর মধ্যে কাজী মো. মোতাহার হোসেন বনাম সায়েম সোবহান আনভীর মামলায় ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

কিন্তু ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই বলে হানযালার অভিযোগ।

সাত দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে টাকা আদায়ের জন্য তারা হাই কোর্টে রিট আবেদন করবেন বলে নোটিসে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা এ ধরনের কোনো উকিল নোটিস এখনও পাননি। নোটিস হাতে পেলে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন।

 

 

সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

সাত দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে টাকা আদায়ের জন্য রিট আবেদন করা হবে, নোটিসে বলেছেন কালের কণ্ঠের সাবেক ১৩ কর্মী।

‘চেক প্রতারণা’: বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও এমডিকে উকিল নোটিস

আপডেট সময় ০৬:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

 

চাকরিকালীন আর্থিক সুবিধা না পেয়ে কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন সংবাদমাধ্যমটির সাবেক ১৩ কর্মী।

কালের কণ্ঠের স্বত্বাধিকারী ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও কালের কণ্ঠের প্রকাশকসহ ছয়জনের কাছে রোববার এ নোটিস পাঠানো হয়।

নোটিসদাতারা হলেন— মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, ফারজানা রশিদ, আবু সালেহ মো. শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার, মো. লতিফুল বাসার (লিমন বাসার), মাহাবুর রহমান মীর ও হানযালা হান।

নোটিসদাতাদের অভিযোগ, কালের কণ্ঠ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে অর্ধশত সাংবাদিককে কোনো নোটিস না দিয়েই ছাঁটাই করা হয়। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন সময় অব্যাহতি নেন। সব মিলিয়ে অর্ধশতাধিক কর্মীর সার্ভিস বেনিফিটের (গ্রাচুয়িটিসহ) টাকা এখনও পরিশোধ করা হয়নি।

এ নিয়ে কালের কণ্ঠর সম্পাদক, প্রকাশক ও বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করে ফল পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ তাদের।

অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো হিসাব করে ২০২৪ সালে ভাগ ভাগ করে তিন থেকে ১০টি পর্যন্ত চেক দেয়। তারা একেক মাসে একেকটি চেক ব্যাংকে জমা দিতে বলে। সে অনুযায়ী জমা দিলেও জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই ও অগাস্ট মাসে চেক ডিসঅনার হয়।

১৩ সাংবাদিকের অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ে গিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে গেলে চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেননি।

তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরপর কয়েক সাংবাদিক নিম্ন আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ সাংবাদিকের পাওনা পরিশোধ করে। বাকিদের আশ্বস্ত করে, দ্রুত টাকা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে সবার চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলে কালের কণ্ঠ কয়েকজন সাংবাদিকের কাছ থেকে চেক নিয়েছে। এরপর সেই চেকগুলো ফেরত দেওয়া হয়নি, মেয়াদও বাড়ানো হয়নি।

নোটিসদাতাদের একজন হানযালা হান বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন। দুজনের মামলায় গ্রপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর মধ্যে কাজী মো. মোতাহার হোসেন বনাম সায়েম সোবহান আনভীর মামলায় ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

কিন্তু ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই বলে হানযালার অভিযোগ।

সাত দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে টাকা আদায়ের জন্য তারা হাই কোর্টে রিট আবেদন করবেন বলে নোটিসে জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা এ ধরনের কোনো উকিল নোটিস এখনও পাননি। নোটিস হাতে পেলে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন।

 

 

সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম