০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলানকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা ইন্টারের

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

প্রথমার্ধের ১১ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে একচেটিয়া আধিপত্য করল ইন্টার মিলান। বিরতির পর এসি মিলানও খানিকটা লড়াই চালিয়েছিল। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না তারা। ফলে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রইল সিমোনে ইনজাগির দল।

বুধবার (১০ মে) রাতে সান সিরোয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। শুরুতেই জেকো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হেনরিখ মিখিতারিয়ান। এই জয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পঞ্চমবারের দেখায় এই প্রথম এসি মিলানকে হারাল ইন্টার মিলান। আগের চার দেখায় দুবার জিতেছিল এসি মিলান, অন্য দুটি হয়েছিল ড্র।

মিলান ডার্বির এই ম্যাচে ইন্টারের নেওয়া প্রথম দুটি শটেই সাফল্য পায়। অষ্টম মিনিটে সতীর্থের কর্নারে ছয় গজ বক্সের বাইরে বাঁ পায়ের চমৎকার ভলিতে প্রথম গোলটি করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জেকো। এই গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে দ্বিতীয় বয়স্ক (৩৭ বছর ৫৪ দিন) ফুটবলার হিসেবে গোল করলেন তিনি। প্রথম গোলের রেশ না কাটতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৪ বছর বয়সী মিখিতারিয়ান। ফেদেরিকো দিমারকোর বাঁ দিক থেকে পাস দেন বক্সের বাইরে। প্রথম স্পর্শে বল ধরে ভেতরে ঢুকে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের সাবেক এই মিডফিল্ডার।

পঞ্চদশ মিনিটে হাকান কালহানোগলুর শট পোস্টে না লাগলে স্কোরলাইন ৩-০ হতে পারত। পরক্ষণে নিকোলো বারেল্লার শট ফিরিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। এরপর দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৩১তম মিনিটে ইন্টারের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেজ মিলানের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির সংকেত দেন রেফারি। পাশাপাশি মিলানের ডিফেন্ডার সিমোন কেয়াকে দেখান হলুদ কার্ড। তবে ভিএআরে মনিটরে রিপ্লে দেখে দুটি সিদ্ধান্তই বদলে ফেলেন তিনি। দারুণ ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড রাফায়েল লেয়াওকে এই ম্যাচে চোটের কারণে পায়নি মিলান। এর প্রভাব দেখা যায় মাঠেও।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য পাঁচটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। এই সময়ে ইন্টারের ১১ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা অবশ্য ভালো করেছিল মিলান। ৫০তম মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে ব্রাহিম দিয়াসের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পায় তারা, শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুনিয়র মেসিয়াস। খানিক পর ব্যবধান বাড়ানোর বড় সুযোগ আসে ইন্টারের সামনে। জেকোর সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে পা দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিয়াঁ।

৬৪তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি মিলান। অলিভিয়ে জিরুদের পাস থেকে সান্দ্রো তনালির শট পোস্টে লাগে। একেবারে শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু তোমাসো পবেগা শট মারেন গোলরক্ষক বরাবর। আগামী মঙ্গলবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ। সেটি হবে ইন্টারের ‘হোম ম্যাচ’। এই ম্যাচে এসি মিলানকে অন্তত ৩-০ ব্যবধানে জিততে হবে, নইলে ইন্টার ফাইনালে পা রাখবে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলানকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা ইন্টারের

আপডেট সময় ০৯:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

প্রথমার্ধের ১১ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে একচেটিয়া আধিপত্য করল ইন্টার মিলান। বিরতির পর এসি মিলানও খানিকটা লড়াই চালিয়েছিল। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না তারা। ফলে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রইল সিমোনে ইনজাগির দল।

বুধবার (১০ মে) রাতে সান সিরোয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। শুরুতেই জেকো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হেনরিখ মিখিতারিয়ান। এই জয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পঞ্চমবারের দেখায় এই প্রথম এসি মিলানকে হারাল ইন্টার মিলান। আগের চার দেখায় দুবার জিতেছিল এসি মিলান, অন্য দুটি হয়েছিল ড্র।

মিলান ডার্বির এই ম্যাচে ইন্টারের নেওয়া প্রথম দুটি শটেই সাফল্য পায়। অষ্টম মিনিটে সতীর্থের কর্নারে ছয় গজ বক্সের বাইরে বাঁ পায়ের চমৎকার ভলিতে প্রথম গোলটি করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জেকো। এই গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে দ্বিতীয় বয়স্ক (৩৭ বছর ৫৪ দিন) ফুটবলার হিসেবে গোল করলেন তিনি। প্রথম গোলের রেশ না কাটতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৪ বছর বয়সী মিখিতারিয়ান। ফেদেরিকো দিমারকোর বাঁ দিক থেকে পাস দেন বক্সের বাইরে। প্রথম স্পর্শে বল ধরে ভেতরে ঢুকে জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের সাবেক এই মিডফিল্ডার।

পঞ্চদশ মিনিটে হাকান কালহানোগলুর শট পোস্টে না লাগলে স্কোরলাইন ৩-০ হতে পারত। পরক্ষণে নিকোলো বারেল্লার শট ফিরিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। এরপর দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৩১তম মিনিটে ইন্টারের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেজ মিলানের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির সংকেত দেন রেফারি। পাশাপাশি মিলানের ডিফেন্ডার সিমোন কেয়াকে দেখান হলুদ কার্ড। তবে ভিএআরে মনিটরে রিপ্লে দেখে দুটি সিদ্ধান্তই বদলে ফেলেন তিনি। দারুণ ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড রাফায়েল লেয়াওকে এই ম্যাচে চোটের কারণে পায়নি মিলান। এর প্রভাব দেখা যায় মাঠেও।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য পাঁচটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। এই সময়ে ইন্টারের ১১ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা অবশ্য ভালো করেছিল মিলান। ৫০তম মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে ব্রাহিম দিয়াসের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পায় তারা, শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জুনিয়র মেসিয়াস। খানিক পর ব্যবধান বাড়ানোর বড় সুযোগ আসে ইন্টারের সামনে। জেকোর সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে পা দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিয়াঁ।

৬৪তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি মিলান। অলিভিয়ে জিরুদের পাস থেকে সান্দ্রো তনালির শট পোস্টে লাগে। একেবারে শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পায় তারা। কিন্তু তোমাসো পবেগা শট মারেন গোলরক্ষক বরাবর। আগামী মঙ্গলবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ। সেটি হবে ইন্টারের ‘হোম ম্যাচ’। এই ম্যাচে এসি মিলানকে অন্তত ৩-০ ব্যবধানে জিততে হবে, নইলে ইন্টার ফাইনালে পা রাখবে।