“আমাদের যেকোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে, এটাও তেমনি,” বলেন এসপি।
ছাগল কাণ্ডের মতিউরকে ‘অনৈতিক সুবিধা’: ১১ পুলিশ বরখাস্ত

- আপডেট সময় ১২:৫৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য ছাগল কাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানকে ঢাকার আদালত থেকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময় ‘অনৈতিক সুবিধা’ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের ১১ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একজন এসআইসহ ১০ জন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়ার তথ্য শনিবার রাতে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আমাদের যেকোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে, এটাও তেমনি।”
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- এসআই আবুল কাশেম, কনস্টেবল মনিরুজ্জামান, মো. কবির হোসেন, ইমরান, নির্জন খান, শামীম আলম, মো. রনি হোসেন, শরীফুল ইসলাম, তানভির রহমান, মো. আবু সাইদ মিয়া ও রবীন্দ্র দাস।
পুলিশের এ বিষয়ক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে গত ১২ অগাস্টের এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ‘উৎকোচ গ্রহণসহ’ বিভাগীয় নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থি কাজের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে যাবার পথে ওই দিন মতিউর রহমানকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানটি একটি রেস্তোরাঁর সামনে থামে। ভ্যান থেকে নেমে রেস্তোরাঁয় ঢুকে মতিউরের অবস্থান নেওয়া, আগে থেকে সেখানে থাকা একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আদালতে মতিউর রহমান। ফাইল ছবি
গত ১২ অগাস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মতিউর রহমান হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানটি নরসিংদীর নিরালা হাড্ডি হোটেল অ্যন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে থামে। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে তিনি অবস্থান করেন। এসময় প্রিজন ভ্যানকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়া পুলিশের গাড়িও সেখানে ছিল।
প্রায় এক ঘণ্টা রেস্তোরাঁয় অবস্থান, বিশেষ কক্ষে খাওয়া-দাওয়া এবং পুলিশের স্বাভাবিক আচরণের পাশাপাশি সাদা পোশাকের এক ব্যক্তির সঙ্গে মতিউরের ঘনিষ্ঠভাবে ঘাড়ে হাত দিয়ে কথা বলতে এবং হাঁটাচলা করতে দেখা যায়।
এ ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পরে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনে ১১ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ‘উৎকোচ গ্রহণ করাসহ’ বিভাগীয় নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থি, অসৎ উদ্দেশ্য, অসদাচরণ ও জনসম্মুখে পুলিশের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করার কথা তুলে ধরে।
এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পুলিশ, বলছেন কর্মকর্তারা।
মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান – বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম