০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
“ছাত্রদের দলীয় রাজনীতিতে জড়ানোর রাস্তা বন্ধ করা জরুরি,” বলেন তিনি।

ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা ‘জুলুম’: বায়তুল মোকাররমের খতিব

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের ‘ব্যবহার করাকে’ অন্যায় হিসেবে দেখছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেক।

 

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের ‘ব্যবহার করাকে’ অন্যায় হিসেবে দেখছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেক।

তিনি বলেছেন, “আমি একটা কথা শুধু বলি- যেটা আমার মুখ থেকে শুনলে আপনাদের কাছে তাজ্জব লাগতে পারে। সেটা হল, ছাত্রদেরকে যে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়- এটা ছাত্রদের উপরে জুলুম।

“কলেজ-ভার্সিটির ছাত্রদেরকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয় না? প্রত্যেক দলের ছাত্রদল (ছাত্রদের অঙ্গসংগঠন) আছে। কেন সেটা? জুলুম। এটা জুলুম।”

শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘নারীর মর্যাদা নিরাপত্তা ও সচেতনতার জন্য’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মুফতি মালেক।

তিনি বলেন, “এমনকি ইসলামী দলগুলোর মধ্যেও তারা- ছাত্রদেরকে, মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে অনেক ক্ষেত্রে। এটা অন্যায়।

“যত রাজনৈতিক দল আছে- জেনারেলগুলো, তারা ছাত্রদেরকে- কলেজ-ভার্সিটির-স্কুলের ছাত্রদেরকে যে ব্যবহার করছে- এটা তাদের উপরে জুলুম।”

জ্ঞান-বিজ্ঞানকে ‘অনৈসলামিক’ পদ্ধতিতে শেখানোকেও ‘বিশাল জুলুম’ হিসেবে বর্ণনা করেন জাতীয় মসজিদের খতিব মালেক।

তার ভাষায়, “জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে নাস্তিকতা এবং অনৈসলামিক পদ্ধতিতে মুসলিম দেশে পড়ানো- সেটা বিশাল জুলুম।

“কঠিন জুলুম। ওই জুলুম থেকে ছাত্রদেরকে রক্ষা করতে হবে।”

ছাত্রদের দলীয় রাজনীতিতে জড়ানোর ‘রাস্তা বন্ধ করা জরুরি’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নারী অধিকারের আলোচনা করতে গিয়ে নানা পেশার (শ্রমিক, মালিক, শিক্ষার্থী) মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেন আবদুল মালেক। একপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আলোচনার সময় তিনি ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টানেন।

তার ভাষ্য, সকল ক্ষেত্রেই ও সকল স্তরের মানুষেরই অনেক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ‘অনেকভাবে’।

ইনসাফ ফাউন্ডেশন নামে একটি ইসলামি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

 

 

‘পুরুষের অধীন নারী’

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসাফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “অধীন হওয়াটা নারীর ক্ষুদ্রতা নয়; পুরুষের অধীন নারী, পুরুষ অভিভাবক। অধীন হওয়াটা নারীর ক্ষুদ্রতা নয়, বরং তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। অধীন হওয়াটা নারীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা- এটা পুরুষকে বুঝতে হবে। নারীকে বুঝতে হবে।

“অনেক নারী হীনমন্যতায় ভোগে যে- পুরুষ আমার উপর সর্দারি করে। মনে করে, ‘আমি তো তার নিচে, আমার কি সামাজিক মর্যাদা মূল্য আছে?’ না, পুরুষের অধীন হওয়াটা- এটা তার জন্য ক্ষুদ্রতা মোটেই নয়; বরং এটা হল তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।”

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে পুরুষের এ ‘অভিভাবকত্ব’ দায়িত্বশীলতার জন্য বলে মনে করেন সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “পুরুষের অভিভাবকত্ব কর্তৃত্ব দেখানোর জন্য নয়, বরং দায়িত্বশীলতার জন্য। এই জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক বিস্তার দরকার। শুরুটা করতে হবে পরিবার থেকেই।

“পরিবারকে হতে হবে পাঠশালা। ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। ছেলেমেয়েদের দিতে হবে সমান সুযোগ-সুবিধা এবং সমান মর্যাদা ও ভালোবাসা।”

ইনসাফ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সাইফুল বলেন, “নারীর প্রধান দায়িত্ব দুটি। এক হলো, স্ত্রী হিসেবে স্বামীকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দান করা। দুনিয়াবি বিষয়ক ও দ্বীনি বিষয়ক।

“আর দ্বিতীয়ত, মা হিসেবে সন্তান ধারণ ও প্রতিপালন। এ দুটি দায়িত্ব যাতে নারী সুচারু রূপে আনজাম (সম্পাদন) দিতে পারে, আল্লাহ তায়ালা সেজন্য তাকে যথাপযুক্ত শরীর ও মন-মানসিকতা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন।”

এসব দায়িত্ব পালনের জন্য নারীর জন্য ‘উপযুক্ত’ জায়গা ঘর মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেই কারণে ইসলামে তাদেরকে জিহাদে অংশ নেওয়া এবং মসজিদে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়নি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠু মানব সমাজের জন্য নারীর দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ গুরু দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত জায়গাই হল ঘর। সুতরাং নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য ঘরে থাকতে পারাটা নারীর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার।

“তার প্রতি হুকুম হলো, ‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে থাকো’। আল্লাহ তায়ালার যেকোনো হুকুম পালন করার সুযোগ পাওয়া, আল্লাহ তায়ালার যেকোনো হুকুম পালন করতে পারার সুযোগ পাওয়া- প্রত্যেক মানুষের দ্বীনি অধিকার।”

নারীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ‘নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের ‘ঘরছাড়া’ করতে চাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

“ঘরে অবস্থান করা যখন নারীর প্রতি আল্লাহর হুকুম, তখন ঘরে অবস্থানের সুযোগ পাওয়াটা নিঃসন্দেহে নারীর অধিকার। আজ নারীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। যারা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে সর্বহারা হয়েছেন; যাদের নারীত্ব ঘুচে গেছে, তারা তাদের এই কুপথে আমাদের নারীদের টানতে চাইছে। নারীকে ঘরছাড়া করতে চাইছে।”

আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার মানে আমাদের পরিবার, পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চাইছে। আমি মনে করি, তারা যেই সুযোগ পাচ্ছে, এই অপপ্রচারের সুযোগ পাচ্ছে- এতে আমাদের দায় কম নয়।

“আমরা যদি দায়িত্বে সচেতন হই, নারীকে যদি তার জায়গায় স্বস্তিকর থাকার সুযোগ করে দিই, স্বস্তিকর সুযোগ; ছোট্ট ঘর যেন তার জন্য বিস্তৃত ভুবন হয়ে যায়। প্রিয় নবী (স.) যেমন করেছিলেন আমাদের মায়েদের সঙ্গে আচরণ, আমরা যদি সেরকম আচরণ করি নারী কোনোদিন তার ঘর ছেড়ে বাইরে বের হবে না।”

অনুষ্ঠানে বলা হয়, নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতন রোধে কাজ করবে ইনসাফ ফাউন্ডেশন। এক্ষেত্রে সচেতনতামূলক কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“ছাত্রদের দলীয় রাজনীতিতে জড়ানোর রাস্তা বন্ধ করা জরুরি,” বলেন তিনি।

ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা ‘জুলুম’: বায়তুল মোকাররমের খতিব

আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

 

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের ‘ব্যবহার করাকে’ অন্যায় হিসেবে দেখছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেক।

তিনি বলেছেন, “আমি একটা কথা শুধু বলি- যেটা আমার মুখ থেকে শুনলে আপনাদের কাছে তাজ্জব লাগতে পারে। সেটা হল, ছাত্রদেরকে যে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়- এটা ছাত্রদের উপরে জুলুম।

“কলেজ-ভার্সিটির ছাত্রদেরকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয় না? প্রত্যেক দলের ছাত্রদল (ছাত্রদের অঙ্গসংগঠন) আছে। কেন সেটা? জুলুম। এটা জুলুম।”

শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘নারীর মর্যাদা নিরাপত্তা ও সচেতনতার জন্য’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মুফতি মালেক।

তিনি বলেন, “এমনকি ইসলামী দলগুলোর মধ্যেও তারা- ছাত্রদেরকে, মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে অনেক ক্ষেত্রে। এটা অন্যায়।

“যত রাজনৈতিক দল আছে- জেনারেলগুলো, তারা ছাত্রদেরকে- কলেজ-ভার্সিটির-স্কুলের ছাত্রদেরকে যে ব্যবহার করছে- এটা তাদের উপরে জুলুম।”

জ্ঞান-বিজ্ঞানকে ‘অনৈসলামিক’ পদ্ধতিতে শেখানোকেও ‘বিশাল জুলুম’ হিসেবে বর্ণনা করেন জাতীয় মসজিদের খতিব মালেক।

তার ভাষায়, “জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে নাস্তিকতা এবং অনৈসলামিক পদ্ধতিতে মুসলিম দেশে পড়ানো- সেটা বিশাল জুলুম।

“কঠিন জুলুম। ওই জুলুম থেকে ছাত্রদেরকে রক্ষা করতে হবে।”

ছাত্রদের দলীয় রাজনীতিতে জড়ানোর ‘রাস্তা বন্ধ করা জরুরি’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নারী অধিকারের আলোচনা করতে গিয়ে নানা পেশার (শ্রমিক, মালিক, শিক্ষার্থী) মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেন আবদুল মালেক। একপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আলোচনার সময় তিনি ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টানেন।

তার ভাষ্য, সকল ক্ষেত্রেই ও সকল স্তরের মানুষেরই অনেক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ‘অনেকভাবে’।

ইনসাফ ফাউন্ডেশন নামে একটি ইসলামি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

 

 

‘পুরুষের অধীন নারী’

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসাফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “অধীন হওয়াটা নারীর ক্ষুদ্রতা নয়; পুরুষের অধীন নারী, পুরুষ অভিভাবক। অধীন হওয়াটা নারীর ক্ষুদ্রতা নয়, বরং তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। অধীন হওয়াটা নারীর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা- এটা পুরুষকে বুঝতে হবে। নারীকে বুঝতে হবে।

“অনেক নারী হীনমন্যতায় ভোগে যে- পুরুষ আমার উপর সর্দারি করে। মনে করে, ‘আমি তো তার নিচে, আমার কি সামাজিক মর্যাদা মূল্য আছে?’ না, পুরুষের অধীন হওয়াটা- এটা তার জন্য ক্ষুদ্রতা মোটেই নয়; বরং এটা হল তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।”

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে পুরুষের এ ‘অভিভাবকত্ব’ দায়িত্বশীলতার জন্য বলে মনে করেন সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “পুরুষের অভিভাবকত্ব কর্তৃত্ব দেখানোর জন্য নয়, বরং দায়িত্বশীলতার জন্য। এই জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক বিস্তার দরকার। শুরুটা করতে হবে পরিবার থেকেই।

“পরিবারকে হতে হবে পাঠশালা। ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। ছেলেমেয়েদের দিতে হবে সমান সুযোগ-সুবিধা এবং সমান মর্যাদা ও ভালোবাসা।”

ইনসাফ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সাইফুল বলেন, “নারীর প্রধান দায়িত্ব দুটি। এক হলো, স্ত্রী হিসেবে স্বামীকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দান করা। দুনিয়াবি বিষয়ক ও দ্বীনি বিষয়ক।

“আর দ্বিতীয়ত, মা হিসেবে সন্তান ধারণ ও প্রতিপালন। এ দুটি দায়িত্ব যাতে নারী সুচারু রূপে আনজাম (সম্পাদন) দিতে পারে, আল্লাহ তায়ালা সেজন্য তাকে যথাপযুক্ত শরীর ও মন-মানসিকতা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন।”

এসব দায়িত্ব পালনের জন্য নারীর জন্য ‘উপযুক্ত’ জায়গা ঘর মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেই কারণে ইসলামে তাদেরকে জিহাদে অংশ নেওয়া এবং মসজিদে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়নি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠু মানব সমাজের জন্য নারীর দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ গুরু দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত জায়গাই হল ঘর। সুতরাং নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য ঘরে থাকতে পারাটা নারীর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার।

“তার প্রতি হুকুম হলো, ‘তোমরা নিজ নিজ ঘরে থাকো’। আল্লাহ তায়ালার যেকোনো হুকুম পালন করার সুযোগ পাওয়া, আল্লাহ তায়ালার যেকোনো হুকুম পালন করতে পারার সুযোগ পাওয়া- প্রত্যেক মানুষের দ্বীনি অধিকার।”

নারীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ‘নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের ‘ঘরছাড়া’ করতে চাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

“ঘরে অবস্থান করা যখন নারীর প্রতি আল্লাহর হুকুম, তখন ঘরে অবস্থানের সুযোগ পাওয়াটা নিঃসন্দেহে নারীর অধিকার। আজ নারীকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। যারা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে সর্বহারা হয়েছেন; যাদের নারীত্ব ঘুচে গেছে, তারা তাদের এই কুপথে আমাদের নারীদের টানতে চাইছে। নারীকে ঘরছাড়া করতে চাইছে।”

আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার মানে আমাদের পরিবার, পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চাইছে। আমি মনে করি, তারা যেই সুযোগ পাচ্ছে, এই অপপ্রচারের সুযোগ পাচ্ছে- এতে আমাদের দায় কম নয়।

“আমরা যদি দায়িত্বে সচেতন হই, নারীকে যদি তার জায়গায় স্বস্তিকর থাকার সুযোগ করে দিই, স্বস্তিকর সুযোগ; ছোট্ট ঘর যেন তার জন্য বিস্তৃত ভুবন হয়ে যায়। প্রিয় নবী (স.) যেমন করেছিলেন আমাদের মায়েদের সঙ্গে আচরণ, আমরা যদি সেরকম আচরণ করি নারী কোনোদিন তার ঘর ছেড়ে বাইরে বের হবে না।”

অনুষ্ঠানে বলা হয়, নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতন রোধে কাজ করবে ইনসাফ ফাউন্ডেশন। এক্ষেত্রে সচেতনতামূলক কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম