১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
সরকার পতনের আগের পর্ষদের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন কাজী আহসান খলিল।

ছুটিতে যেতে বলল পর্ষদ, পদত্যাগ করলেন মেঘনা ব্যাংকের এমডি

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

কাজী আহসান খলিল।

 

পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘বাধ্যতামূলক’ ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের পর পদত্যাগ করেছেন মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহসান খলিল। চাকরির মেয়াদ ২১ মাস বাকি থাকতেই সরে দাড়ালেন তিনি।

রোববার ২৭ জুলাই রাতে কাজী আহসান তার পদত্যাগ করার তথ্য দিয়ে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ (রোববার) সকালে ব্যাংকের পর্ষদের কাছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

“পর্ষদ আমাকে কারণ ছাড়াই ছুটিতে যেতে বলেছিল। আমি মনে করি আমার পদত্যাগপত্র দেওয়া উচিত।”

২০২৪ সালের এপ্রিলে ৩ বছরের জন্য তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বেসরকারি ব্যাংকটি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার ১৫ মাসের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করলেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে মেঘনা ব্যাংকের একজন পরিচালক বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৪ জুলাইয়ের পর্ষদ সভায় তাকে ‘বাধ্যতামূলক’ ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

ব্যাংকের নতুন পর্ষদের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা তার পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে এমডি খুঁজছিলেন বলে তুলে ধরেন ওই পরিচালক।

তিনি বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে সরকার পতনের আগের সময়ের পর্ষদের নিয়োগ পাওয়া এমডি কাজী আহসান সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

পট পরিবর্তনের পর ২০২৫ সালের মার্চে প্রাণ-আরএফল গ্রুপের ডিরেক্টর ফিন্যান্স উজমা চৌধুরীর নেতৃত্বে মেঘনা ব্যাংকে নতুন পর্ষদ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময়ে অনুমোদন পেয়েছিল। ২০১২ সালে একসঙ্গে অনুমোদন পাওয়া ৯ ব্যাংকের মধ্যে ছিল মেঘনা।

এটির উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা এবং বিদেশে ক্ষমতাসীন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও অনুসারী প্রবাসীরা।

পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান।

বর্তমানে ব্যাংকটির চেয়ারপারসন উজমা চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই নির্বাহী পরিচালক মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত এমডি হাবিবুর রহমান ও হিসাববিদ আলি আকতার রিজভী।

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার পতনের আগের পর্ষদের সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন কাজী আহসান খলিল।

ছুটিতে যেতে বলল পর্ষদ, পদত্যাগ করলেন মেঘনা ব্যাংকের এমডি

আপডেট সময় ১২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

 

পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘বাধ্যতামূলক’ ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের পর পদত্যাগ করেছেন মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহসান খলিল। চাকরির মেয়াদ ২১ মাস বাকি থাকতেই সরে দাড়ালেন তিনি।

রোববার ২৭ জুলাই রাতে কাজী আহসান তার পদত্যাগ করার তথ্য দিয়ে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ (রোববার) সকালে ব্যাংকের পর্ষদের কাছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

“পর্ষদ আমাকে কারণ ছাড়াই ছুটিতে যেতে বলেছিল। আমি মনে করি আমার পদত্যাগপত্র দেওয়া উচিত।”

২০২৪ সালের এপ্রিলে ৩ বছরের জন্য তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বেসরকারি ব্যাংকটি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার ১৫ মাসের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করলেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে মেঘনা ব্যাংকের একজন পরিচালক বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৪ জুলাইয়ের পর্ষদ সভায় তাকে ‘বাধ্যতামূলক’ ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

ব্যাংকের নতুন পর্ষদের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা তার পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে এমডি খুঁজছিলেন বলে তুলে ধরেন ওই পরিচালক।

তিনি বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে সরকার পতনের আগের সময়ের পর্ষদের নিয়োগ পাওয়া এমডি কাজী আহসান সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

পট পরিবর্তনের পর ২০২৫ সালের মার্চে প্রাণ-আরএফল গ্রুপের ডিরেক্টর ফিন্যান্স উজমা চৌধুরীর নেতৃত্বে মেঘনা ব্যাংকে নতুন পর্ষদ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময়ে অনুমোদন পেয়েছিল। ২০১২ সালে একসঙ্গে অনুমোদন পাওয়া ৯ ব্যাংকের মধ্যে ছিল মেঘনা।

এটির উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা এবং বিদেশে ক্ষমতাসীন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও অনুসারী প্রবাসীরা।

পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান।

বর্তমানে ব্যাংকটির চেয়ারপারসন উজমা চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই নির্বাহী পরিচালক মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত এমডি হাবিবুর রহমান ও হিসাববিদ আলি আকতার রিজভী।

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম