১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫
“দর্শকের ভালোবাসার জন্যই তো আমি ববিতা হয়ে উঠতে পেরেছি। তারা আমার সিনেমা দেখেছেন, ভালোবেসেছেন। তাদের কাছে আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।”

জন্মদিনে ছেলের কাছে আছি, এতেই আনন্দ: চিত্রনায়িকা ববিতার

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ছেলে অনিকের সঙ্গে ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

জন্মদিনে ঘটা করে কোনো আয়োজন না থাকলেও ছেলের কাছে আছেন, তাতেই আনন্দটা যেন অনেক বেশি চিত্রনায়িকা ববিতার।

বিনোদন ডেস্ককে তিনি জানালেন, সকাল হতেই ছেলে অনিক ঘুম থেকে উঠে মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

নন্দিত এ অভিনেত্রীর সঙ্গে যখন ফোন কথা হচ্ছিল; বাংলাদেশে ঘড়িতে তখন বুধবার রাত দেড়টা; আর কানাডার সবে দুপুর হল। ববিতা তখন কানাডার বাসায় অপেক্ষা করছিলেন ছেলের জন্য; অনিক কাজ থেকে ফিরলে তারা বেড়াতে বের হবেন।

স্বামী ইফতেখার আলমের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে অনিককে নিয়েই ববিতার সংসার। কানাডায় লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই চাকরি নিয়ে থিতু হয়েছেন অনিক। বছরের বেশিরভাগ সময় ছেলের সঙ্গে কানাডাতেই থাকেন ববিতা।

 

বছরের বেশিরভাগ সময় ছেলের সঙ্গে কানাডাতেই থাকছেন ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যেবছরের বেশিরভাগ সময় ছেলের সঙ্গে কানাডাতেই থাকছেন ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

এবারের জন্মদিন কীভাবে কাটছে জানতে চাইলে ববিতা গ্লিটজকে বললেন, “ছেলের সঙ্গে আছি, এটাই আমার জন্য অনেক আনন্দের।

“সকাল বেলা আমার ছেলে অনিক ঘুম থেকে উঠেই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এতে আমি ভীষণ খুশি। এরপর অনিক কাজে চলে গেছে। বিকেলে ফিরে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবে। রাতে একসঙ্গে বাইরে ডিনার করব।”

ববিতা বললেন, জন্মদিন জাঁকালো আয়োজন তা পছন্দ নয়।

“আমি তো নিজে থেকে জন্মদিন খুব ঘটা করে পালন করি না। এরপরও ঢাকায় থাকলে অনেকে শুভেচ্ছা জানাতে বাসায় আসেন। বাচ্চারা আসে, গান-আড্ডা হয়। কানাডায় তো আর তেমন কিছু নাই। তবু বহু মানুষ ফোন করে, ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তাতে ভালো লাগছে।”

ছেলে অনিকের সঙ্গে ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যেছেলে অনিকের সঙ্গে ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে ববিতার। সেখানে রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। পরের তিন দশকে তিনি ছিলেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়িকা।

জন্মদিনে দর্শকদের উদ্দেশে ববিতা বলেন, “এত সুনাম অর্জন করেছি, তা তো দর্শকদের জন্যই। দর্শকের ভালোবাসার জন্যই তো আমি ববিতা হয়ে উঠতে পেরেছি। তারা আমার সিনেমা দেখেছেন, ভালোবেসেছেন। তাদের কাছে আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।

“সবাইকে বলব, আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন সুস্থ শরীরে থাকতে পারি। যতদিন বাঁচি যেন সুস্থ থাকি।”

১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় ববিতার জন্ম। আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। চলচ্চিত্র জগতে তার প্রথম নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরজ কি নিচে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই তার নাম ‘ববিতা’ হয়।

 

ববিতা ঢাকায় ফিরতে পারেন নভেম্বরে। ছবি: ববিতার সৌজন্যেববিতা ঢাকায় ফিরতে পারেন নভেম্বরে। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ববিতা কাটিয়েছেন অভিনয়ে। ৭০-৮০ দশকে ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘অনঙ্গ বউ’ চরিত্রে অভিনয় করে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরেও পরিচিতি পান।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে চারবার, পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে দুইবার ও প্রযোজক হিসেবে একবার পুরস্কার পেয়েছেন ববিতা। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মানায় ভূষিত করা হয়।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘পোকা মাকড়ের ঘর বসতি’, ‘রামের সুমতি’, ‘এক মুঠোভাত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘লাঠিয়াল’, ‘লাইলী মজনু’, ‘দূরদেশ’, ‘ফুলশয্যা’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’ মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন ববিতা।

 

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“দর্শকের ভালোবাসার জন্যই তো আমি ববিতা হয়ে উঠতে পেরেছি। তারা আমার সিনেমা দেখেছেন, ভালোবেসেছেন। তাদের কাছে আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।”

জন্মদিনে ছেলের কাছে আছি, এতেই আনন্দ: চিত্রনায়িকা ববিতার

আপডেট সময় ১২:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

 

জন্মদিনে ঘটা করে কোনো আয়োজন না থাকলেও ছেলের কাছে আছেন, তাতেই আনন্দটা যেন অনেক বেশি চিত্রনায়িকা ববিতার।

বিনোদন ডেস্ককে তিনি জানালেন, সকাল হতেই ছেলে অনিক ঘুম থেকে উঠে মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

নন্দিত এ অভিনেত্রীর সঙ্গে যখন ফোন কথা হচ্ছিল; বাংলাদেশে ঘড়িতে তখন বুধবার রাত দেড়টা; আর কানাডার সবে দুপুর হল। ববিতা তখন কানাডার বাসায় অপেক্ষা করছিলেন ছেলের জন্য; অনিক কাজ থেকে ফিরলে তারা বেড়াতে বের হবেন।

স্বামী ইফতেখার আলমের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে অনিককে নিয়েই ববিতার সংসার। কানাডায় লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই চাকরি নিয়ে থিতু হয়েছেন অনিক। বছরের বেশিরভাগ সময় ছেলের সঙ্গে কানাডাতেই থাকেন ববিতা।

 

বছরের বেশিরভাগ সময় ছেলের সঙ্গে কানাডাতেই থাকছেন ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যেবছরের বেশিরভাগ সময় ছেলের সঙ্গে কানাডাতেই থাকছেন ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

এবারের জন্মদিন কীভাবে কাটছে জানতে চাইলে ববিতা গ্লিটজকে বললেন, “ছেলের সঙ্গে আছি, এটাই আমার জন্য অনেক আনন্দের।

“সকাল বেলা আমার ছেলে অনিক ঘুম থেকে উঠেই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এতে আমি ভীষণ খুশি। এরপর অনিক কাজে চলে গেছে। বিকেলে ফিরে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবে। রাতে একসঙ্গে বাইরে ডিনার করব।”

ববিতা বললেন, জন্মদিন জাঁকালো আয়োজন তা পছন্দ নয়।

“আমি তো নিজে থেকে জন্মদিন খুব ঘটা করে পালন করি না। এরপরও ঢাকায় থাকলে অনেকে শুভেচ্ছা জানাতে বাসায় আসেন। বাচ্চারা আসে, গান-আড্ডা হয়। কানাডায় তো আর তেমন কিছু নাই। তবু বহু মানুষ ফোন করে, ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তাতে ভালো লাগছে।”

ছেলে অনিকের সঙ্গে ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যেছেলে অনিকের সঙ্গে ববিতা। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে ববিতার। সেখানে রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। পরের তিন দশকে তিনি ছিলেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়িকা।

জন্মদিনে দর্শকদের উদ্দেশে ববিতা বলেন, “এত সুনাম অর্জন করেছি, তা তো দর্শকদের জন্যই। দর্শকের ভালোবাসার জন্যই তো আমি ববিতা হয়ে উঠতে পেরেছি। তারা আমার সিনেমা দেখেছেন, ভালোবেসেছেন। তাদের কাছে আমার অনেক কৃতজ্ঞতা।

“সবাইকে বলব, আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন সুস্থ শরীরে থাকতে পারি। যতদিন বাঁচি যেন সুস্থ থাকি।”

১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় ববিতার জন্ম। আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। চলচ্চিত্র জগতে তার প্রথম নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরজ কি নিচে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই তার নাম ‘ববিতা’ হয়।

 

ববিতা ঢাকায় ফিরতে পারেন নভেম্বরে। ছবি: ববিতার সৌজন্যেববিতা ঢাকায় ফিরতে পারেন নভেম্বরে। ছবি: ববিতার সৌজন্যে

 

পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ববিতা কাটিয়েছেন অভিনয়ে। ৭০-৮০ দশকে ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘অনঙ্গ বউ’ চরিত্রে অভিনয় করে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরেও পরিচিতি পান।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে চারবার, পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে দুইবার ও প্রযোজক হিসেবে একবার পুরস্কার পেয়েছেন ববিতা। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মানায় ভূষিত করা হয়।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘পোকা মাকড়ের ঘর বসতি’, ‘রামের সুমতি’, ‘এক মুঠোভাত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘লাঠিয়াল’, ‘লাইলী মজনু’, ‘দূরদেশ’, ‘ফুলশয্যা’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’ মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন ববিতা।

 

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম