এ মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।
জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠী আম্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

- আপডেট সময় ০৫:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / ৬২ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহপাঠীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহপাঠীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
রোববার প্রধান আসামি রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-১ এ অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও অব্যাহতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, তদন্তকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবন্তিকার মোবাইল ফোন থেকে প্রাপ্ত ছবি, স্ক্রিনশট, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা, ফেইসবুকে দেওয়া ‘সুইসাইড নোট’ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টে আম্মানের পাঠানো মানসিক হয়রানিমূলক বার্তার প্রমাণ মিলেছে, যা অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।
এই মামলায় অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান এবং শিক্ষক দীন মোহাম্মদ দুইজনই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বর্তমানে দুইজনই জামিনে আছেন।
গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেইসবুক পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি।
পরদিন ১৬ মার্চ তার মা তাহমিনা শবনম দুজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন।
তবে অভিযোগপত্রে খুশি নন অবন্তিকার মা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে জড়িতরা শাস্তি পাবে কি-না শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। যে জবি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি, সেই প্রশাসন কীভাবে দায় এড়াতে পারে?”
তিনি আরও বলেন, “অবন্তিকার মতো অসংখ্য মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়। কেউ নীরবে সহ্য করে, কেউ প্রতিবাদ করে মৃত্যুর মুখে পড়ে।”
কুমিল্লা প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম