০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে সকল বিষয়ে থাকলে নিবন্ধন বাতিল করা হয় তার সবই গণঅধিকার আন্দোলন করেছে,” বলে শামীম হায়দার।

জাপা কার্যালয়ে আগুন: গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

 

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুনের ঘটনায় দলটি গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন।

তিন বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের দলের নিবন্ধন বাতিল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এই মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

“সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে সকল বিষয়ে থাকলে নিবন্ধন বাতিল করা হয় তার সবই গণঅধিকার আন্দোলন করেছে। তাই গণঅধিকারকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারকেই নিষিদ্ধ করতে হবে।”

‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবিতে এদিন বিকালে শাহবাগ মোড়ে সংহতি সমাবেশ আয়োজন করেছিল গণঅধিকার পরিষদ। সেই সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান দলটির নেতাকর্মীরা।

আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে ভাংচুর চালিয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেন।

এ ঘটনায় রাতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, “হামলার বিষয়ে পুলিশের অবস্থান যথেষ্ট ছিল, তবে সেনাবাহিনী না থাকলে পুলিশ একা এই মবকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তাই সেনাবাহিনী প্রয়োজন।”

এর আগে গত ৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের ডাক দেয় গণঅধিকার পরিষদ। রাত সাড়ে ৯টায় মশাল মিছিল কর্মসূচি শেষে বিজয়নগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে। তাতে আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

ওই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই ঘটনার নিন্দা জানায়।

পরদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় নুরের দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়।

হামলার ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আর আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য’ হওয়ার পর সেনাবাহিনী সেদিন ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে সকল বিষয়ে থাকলে নিবন্ধন বাতিল করা হয় তার সবই গণঅধিকার আন্দোলন করেছে,” বলে শামীম হায়দার।

জাপা কার্যালয়ে আগুন: গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি

আপডেট সময় ১১:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুনের ঘটনায় দলটি গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন।

তিন বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের দলের নিবন্ধন বাতিল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এই মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

“সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে সকল বিষয়ে থাকলে নিবন্ধন বাতিল করা হয় তার সবই গণঅধিকার আন্দোলন করেছে। তাই গণঅধিকারকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারকেই নিষিদ্ধ করতে হবে।”

‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবিতে এদিন বিকালে শাহবাগ মোড়ে সংহতি সমাবেশ আয়োজন করেছিল গণঅধিকার পরিষদ। সেই সমাবেশ শেষ করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান দলটির নেতাকর্মীরা।

আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে ভাংচুর চালিয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেন।

এ ঘটনায় রাতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, “হামলার বিষয়ে পুলিশের অবস্থান যথেষ্ট ছিল, তবে সেনাবাহিনী না থাকলে পুলিশ একা এই মবকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তাই সেনাবাহিনী প্রয়োজন।”

এর আগে গত ৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের ডাক দেয় গণঅধিকার পরিষদ। রাত সাড়ে ৯টায় মশাল মিছিল কর্মসূচি শেষে বিজয়নগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে। তাতে আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

ওই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই ঘটনার নিন্দা জানায়।

পরদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় নুরের দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়।

হামলার ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আর আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য’ হওয়ার পর সেনাবাহিনী সেদিন ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম