০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

জায়েদা খাতুন দেশের দ্বিতীয় নারী সিটি মেয়র

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৫৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে হারিয়েছেন। স্বশিক্ষিত জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় পেশা ‘ব্যবসা’ লেখা হলেও মূলত তিনি গৃহিণী।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। ওই নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার। আইভীর পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে সিটি করপোরেশনের মেয়র হচ্ছেন জায়েদা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী জায়েদা খাতুনের জন্ম ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। তার পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩৫ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা ৫০ হাজার টাকা। কারখানায় বিনিয়োগ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণালংকার আছে ৩০ ভরি। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এক লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আসবাব এক লাখ ৫০ হাজার টাকার। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই তার।

মনোনয়নপত্র দাখিল করার আগে জায়েদা খাতুনকে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। মূলত ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করেই তিনি রাজনীতিতে আসেন। জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও। তিনি সিটি মেয়র হিসেবে পুরো মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

জায়েদা খাতুন দেশের দ্বিতীয় নারী সিটি মেয়র

আপডেট সময় ০৮:৫৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে হারিয়েছেন। স্বশিক্ষিত জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় পেশা ‘ব্যবসা’ লেখা হলেও মূলত তিনি গৃহিণী।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। ওই নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার। আইভীর পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে সিটি করপোরেশনের মেয়র হচ্ছেন জায়েদা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী জায়েদা খাতুনের জন্ম ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। তার পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। ব্যবসা থেকে বছরে আয় তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩৫ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা ৫০ হাজার টাকা। কারখানায় বিনিয়োগ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণালংকার আছে ৩০ ভরি। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এক লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আসবাব এক লাখ ৫০ হাজার টাকার। স্থাবর কোনো সম্পদ নেই তার।

মনোনয়নপত্র দাখিল করার আগে জায়েদা খাতুনকে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। মূলত ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করেই তিনি রাজনীতিতে আসেন। জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও। তিনি সিটি মেয়র হিসেবে পুরো মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।