০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জেলে না থাকলে গত একমাস কোথায় ছিলেন আরাভ খান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ১০৮ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ে পলাতক আরাভ খানের ফেসবুক লাইভে দেওয়া বক্তব্যে সন্ধিহান পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাইয়ে অবস্থানরত এই আসামির দাবি গত একমাস ৭ দিন তিনি ইন্টারপোলের কারাগারে ছিলেন।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইন্টারপোল সরাসরি কোনো আসামিকে কারাগারে নেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এই সময়টাতে আরাভ কোথায় ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন আরাভ খান। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেছে আমি দুবাই ছেড়ে পালিয়েছি। আমি পালানোর লোক না। আমি চুরি করিনি, কেন পালাব।

ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার পর তারা আমাকে ফোন করে গ্রেপ্তার করবে বলে জানায়। তারা আমাকে এটাও বলেছে, আমি যদি নিজ থেকে ধরা দিলে সব থেকে ভালো হবে। পরে আমাকে ইন্টারপোল নিয়ে গেল, সেখানে ১ মাস ৭ দিন রাখল। বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হয়েছে। সেজন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। এসব কারণে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আমার বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে।’ একইদিন তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পুনরায় নিজের স্বর্ণের দোকান খোলার ঘোষণা দেন।

রেড নোটিশ জারি থাকা অবস্থায় ইন্টারপোল দুবাইয়ে অবস্থানরত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে ইমেইল করা হলে ২ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এদিকে অনেকেই ধারণা করছেন, আরাভ খান গ্রেপ্তার হওয়ার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। তিনি মূলত এই কয়দিন পালিয়ে ছিলেন। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, ‘রেড নোটিশ জারি থাকা কোনো অপরাধীকে সরাসরি ইন্টারপোল কাস্টডিতে নেয় না। কোনো অপরাধী যে দেশে অবস্থান করে সে দেশের পুলিশের সহায়তা চায় সংস্থাটি। কেউ যদি বলে থাকেন ইন্টারপোল কাস্টডিতে নিয়েছে তা মিথ্যাচারের পর্যায়ে পড়ে।’

এদিকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাইয়ে অবস্থান করায় আরাভ খানকে দেশটির পুলিশ ফেরত দেবে কি না তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবে পুলিশ সদর দফতর বলছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি মনজুর রহমান বলেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি থাকা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করতে আমরা কাজ করছি। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, আরাভ খানের বিষয়ে দুবাই পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইন্টারপোল কাজ করছে। আমি নিজে দুবাইয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

জেলে না থাকলে গত একমাস কোথায় ছিলেন আরাভ খান

আপডেট সময় ১১:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ে পলাতক আরাভ খানের ফেসবুক লাইভে দেওয়া বক্তব্যে সন্ধিহান পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাইয়ে অবস্থানরত এই আসামির দাবি গত একমাস ৭ দিন তিনি ইন্টারপোলের কারাগারে ছিলেন।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইন্টারপোল সরাসরি কোনো আসামিকে কারাগারে নেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এই সময়টাতে আরাভ কোথায় ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন আরাভ খান। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেছে আমি দুবাই ছেড়ে পালিয়েছি। আমি পালানোর লোক না। আমি চুরি করিনি, কেন পালাব।

ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার পর তারা আমাকে ফোন করে গ্রেপ্তার করবে বলে জানায়। তারা আমাকে এটাও বলেছে, আমি যদি নিজ থেকে ধরা দিলে সব থেকে ভালো হবে। পরে আমাকে ইন্টারপোল নিয়ে গেল, সেখানে ১ মাস ৭ দিন রাখল। বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হয়েছে। সেজন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। এসব কারণে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আমার বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে।’ একইদিন তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পুনরায় নিজের স্বর্ণের দোকান খোলার ঘোষণা দেন।

রেড নোটিশ জারি থাকা অবস্থায় ইন্টারপোল দুবাইয়ে অবস্থানরত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে ইমেইল করা হলে ২ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এদিকে অনেকেই ধারণা করছেন, আরাভ খান গ্রেপ্তার হওয়ার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। তিনি মূলত এই কয়দিন পালিয়ে ছিলেন। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, ‘রেড নোটিশ জারি থাকা কোনো অপরাধীকে সরাসরি ইন্টারপোল কাস্টডিতে নেয় না। কোনো অপরাধী যে দেশে অবস্থান করে সে দেশের পুলিশের সহায়তা চায় সংস্থাটি। কেউ যদি বলে থাকেন ইন্টারপোল কাস্টডিতে নিয়েছে তা মিথ্যাচারের পর্যায়ে পড়ে।’

এদিকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাইয়ে অবস্থান করায় আরাভ খানকে দেশটির পুলিশ ফেরত দেবে কি না তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবে পুলিশ সদর দফতর বলছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি মনজুর রহমান বলেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি থাকা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করতে আমরা কাজ করছি। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, আরাভ খানের বিষয়ে দুবাই পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইন্টারপোল কাজ করছে। আমি নিজে দুবাইয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।