গত ৪ জুলাইয়ের আকস্মিক বন্যার পর টেক্সাসজুড়ে এখন পর্যন্ত মৃতের এ পরিসংখ্যান জানিয়েছেন রাজ্য গভর্নর। টেক্সাসের মধ্যাঞ্চলে আবারও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ১৩১, ফের ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

- আপডেট সময় ০৬:১১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / ২৯ বার পড়া হয়েছে
টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১ জনে। সোমবার ১৪ জুলাই গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানান, ৪ জুলাইয়ের বিপর্যয়কর আকস্মিক বন্যার পর থেকে রাজ্যজুড়ে এই প্রাণহানি হয়েছে।
বেশিরভাগ মৃত্যুই ঘটেছে কারভিলে এবং এর আশেপাশের এলাকায়। মৃতের সংখ্যা গত শুক্রবারের ১২০ জন থেকে বেড়ে ১৩১ জন হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
টেক্সাসের রিও গ্রান্ডে থেকে শুরু করে সান অ্যান্টোনিও ও অস্টিন পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর। এই বৃষ্টিতে অর্ধফুট পর্যন্ত পানি জমতে পারে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।
সতর্কতার আওতায় রয়েছে হিল কান্ট্রির কার কাউন্টিও, যে এলাকা ৪ জুলাইয়ের ভয়াবহ বন্যার ধকল কেবল কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। সেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারভিল শহর এবং পার্শ্ববর্তী হান্ট এলাকার সামার ক্যাম্প ‘মিস্টিক’ পানিতে ভেসে যায়।
গুয়াডালুপ নদীর তীরে যারা বাস করছেন এবং উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন, তাদের সবাইকে উঁচু স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। রোববার ১৩ জুলাই
অতিরিক্ত বৃষ্টির আশঙ্কায় নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
কারভিল এলাকায় এখনও ৯৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর অ্যাবট। গত সপ্তাহে নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ১৬০-জনের বেশি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ শিশু, যাদের বেশিরভাগই সামার ক্যাম্প মিস্টিকে ছিল। রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পে হঠাৎ পানি ঢুকে পড়ে।
‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড অ্যালি’ নামে পরিচিত অঞ্চলটিতে মাত্র এক ঘণ্টার কম সময়েই এক ফুটের বেশি বৃষ্টি হয়। এতে আকস্মিকভাবে নদীতে পানি বেড়ে যায় এবং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
গভর্নর অ্যাবট জানান, রাজ্য সরকার একটি বিশেষ অধিবেশন ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে বন্যা মোকাবেলা, প্রস্তুতি ও জরুরি সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হবে।
কয়েক দশকের মধ্যে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ভয়াবহ বন্যা বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে সতর্কতা সাইরেন না থাকা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সময় জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের কর্মী সংকটের কারণেও সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : বিবিসি / বার্তাসংস্থা রয়টার্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম