কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিনদিনের পরোক্ষ আলোচনার পরও অগ্রগতি নেই এবং আলোচনা কার্যত স্থবির হয়ে আছে-বলেছেন এক ফিলিস্তিন কর্মকর্তা
ট্রাম্প-নেতানিয়াহু দ্বিতীয় বৈঠকের পরও থমকে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা

- আপডেট সময় ১১:৫৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিনদিনের পরোক্ষ আলোচনার পরও গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময় নিয়ে চুক্তি থমকে আছে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
বিবিসি-কে তিনি জানান, আলোচনা কার্যত স্থবির হয়ে আছে। আলোচনায় যে বিষয়গুলো মূল বাধা হয়ে আছে তার মধ্যে রয়েছে- যুদ্ধবিরতির সময় ত্রাণ কীভাবে বিতরণ করা হবে সেটি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো একটি ‘অনির্ধারিত’ বৈঠক করায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার আশার জেগে উঠেছিল।
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, দোহায় চারটি মূল বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল, যার মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন কেবল একটি বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। তবে সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।
ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে একের পর এক বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা গতি পাচ্ছে- এমন একটা ধারণাই সৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের সর্বশেষ বৈঠকটি জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা নিয়েই ছিল। আমরা এক মুহূর্তের জন্যও পিছু হটছি না—এটি সম্ভব হচ্ছে আমাদের সাহসী সেনাদের সামরিক চাপের কারণে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ—সব বন্দির মুক্তি এবং হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস করা, যেন গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়।”
বর্তমানে ইসরায়েলের দাবি, ৫০ জন এখনও হামাসের জিম্মায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করছে তারা। মার্কিন দূত উইটকফ বলছেন, আগে যেসব বিষয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথে বাধা হয়ে ছিল সেগুলোতে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মতবিরোধ কমে আসছে।
তবে উইটকফ আশাবাদী হলেও গত রোববার থেকে দোহায় শুরু হওয়া আলোচনার চারটি ধাপে এখনও কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
আলোচনা থমকে আছে জানিয়ে ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, ইসরায়েল ‘ঘৃণ্য ও অবমাননাকর’ ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার ওপরই জোর দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান আবার শুরু হওয়ার পর তারা দখলকৃত এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে, যা আলোচনার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে।”
এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, “আমি এখনই নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারছি না, তবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—এটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।”
তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখনও আশাবাদী এবং উইটকফ শিগগিরই দোহা সফরে যাবেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র : বিবিসি / রয়টার্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম