০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, বৈঠকের জায়গা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যকে বেছে নেওয়ায় ট্রাম্প ‘খুবই সম্মানিত বোধ করছেন’ এবং তিনি ‘আমেরিকার মাটিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় আছেন’।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আলাস্কার অ্যাঙ্করিজে, জানাল হোয়াইট হাউজ

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

আলাস্কার অ্যাঙ্করিজ শহরের একাংশ। ছবি: আরটি

 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ‍পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শুক্রবারের বৈঠক আলাস্কার অ্যাঙ্করিজ শহরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

ট্রাম্প এর আগে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অঙ্গরাজ্যে হবে বলে জানালেও সেখানকার কোন শহরে হবে তা খোলাসা করেননি।

বৈঠকের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে ‘অনেক জায়গা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, দুই নেতার বৈঠকের জায়গা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যকে বেছে নেওয়ায় তিনি ‘খুবই সম্মানিত বোধ করছেন’।

দুই নেতার বৈঠক আলাস্কার একটি ‘সামরিক ঘাঁটিতে’ হতে পারে বলে সিএনএন এর আগে জানিয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আমেরিকার মাটিতে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় আছেন’, ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদেরকে দেওয়া ব্রিফিংয়ে লেভিট এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে আরটি।

শুক্রবারের সূচি এখনও ‘চূড়ান্ত হওয়া বাকি’, যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, বলেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি।

এর আগে মস্কো জানায়, পুতিন-ট্রাম্প আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের ‘কিছু বিষয়’ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তবে এ ফোনালাপ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেনি তারা।

নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্পের রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দেন ক্যারেলাইন লেভিট।

রাশিয়া সফরে প্রেসিডেন্টের আগ্রহ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজের এ মুখপাত্র বলেন, “সম্ভবত, ভবিষ্যতে রাশিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকতে পারে।”

শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ট্রাম্পের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লেভিট বলেন, “বৈঠকের লক্ষ্যই হচ্ছে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত শেষ করার উপায় আমরা কীভাবে খুঁজে বের করতে পারি তা আরও ভালোভাবে বোঝা।”

“প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনুরোধে ট্রাম্প এ বৈঠকে রাজি হয়েছেন। বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে এ অনুরোধ পৌঁছানো হয়,” বলেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি।

গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিন ও উইটকফের তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ বৈঠকের ঘোষণা আসে।

পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ট্রাম্প একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী বলেও ব্রিফিংয়ে লেভিট সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছেন।

এদিকে জেলেনস্কি ও তার মিত্র পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা এবং ইউরোপের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিইভকে ছাড়া বৈঠক থেকে সংঘাত সমাধানে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

রুশ প্রেসিডেন্ট এর আগে বলেছিলেন, নীতিগতভাবে জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে তার আপত্তি নেই, কিন্তু তার আগে ‘অবশ্যই কিছু শর্ত সৃষ্টি হতে হবে’।

মস্কো বারবার বলে আসছে, ইউক্রেইনের নেতা বাস্তব অবস্থা অস্বীকার করছেন এবং অপ্রয়োজনে এমন একটা সংঘাত দীর্ঘায়িত করছেন, যা তিনি কোনোভাবেই জিতবেন না।

কোনো চুক্তি হলে ইউক্রেইনের হয়ে তাতে স্বাক্ষর করার এখতিয়ার জেলেনস্কির আদৌ আছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে ক্রেমলিন। প্রেসিডেন্টে হিসেবে জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছরই শেষ হয়েছে, কিন্তু জরুরি অবস্থার দোহাই দিয়ে তিনি নতুন নির্বাচন দিচ্ছেন না।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, বৈঠকের জায়গা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যকে বেছে নেওয়ায় ট্রাম্প ‘খুবই সম্মানিত বোধ করছেন’ এবং তিনি ‘আমেরিকার মাটিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় আছেন’।

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আলাস্কার অ্যাঙ্করিজে, জানাল হোয়াইট হাউজ

আপডেট সময় ০৫:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ‍পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শুক্রবারের বৈঠক আলাস্কার অ্যাঙ্করিজ শহরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

ট্রাম্প এর আগে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ অঙ্গরাজ্যে হবে বলে জানালেও সেখানকার কোন শহরে হবে তা খোলাসা করেননি।

বৈঠকের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে ‘অনেক জায়গা’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, দুই নেতার বৈঠকের জায়গা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যকে বেছে নেওয়ায় তিনি ‘খুবই সম্মানিত বোধ করছেন’।

দুই নেতার বৈঠক আলাস্কার একটি ‘সামরিক ঘাঁটিতে’ হতে পারে বলে সিএনএন এর আগে জানিয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আমেরিকার মাটিতে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় আছেন’, ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদেরকে দেওয়া ব্রিফিংয়ে লেভিট এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে আরটি।

শুক্রবারের সূচি এখনও ‘চূড়ান্ত হওয়া বাকি’, যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, বলেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি।

এর আগে মস্কো জানায়, পুতিন-ট্রাম্প আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের ‘কিছু বিষয়’ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তবে এ ফোনালাপ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেনি তারা।

নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্পের রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দেন ক্যারেলাইন লেভিট।

রাশিয়া সফরে প্রেসিডেন্টের আগ্রহ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজের এ মুখপাত্র বলেন, “সম্ভবত, ভবিষ্যতে রাশিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকতে পারে।”

শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ট্রাম্পের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লেভিট বলেন, “বৈঠকের লক্ষ্যই হচ্ছে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত শেষ করার উপায় আমরা কীভাবে খুঁজে বের করতে পারি তা আরও ভালোভাবে বোঝা।”

“প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনুরোধে ট্রাম্প এ বৈঠকে রাজি হয়েছেন। বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে এ অনুরোধ পৌঁছানো হয়,” বলেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি।

গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিন ও উইটকফের তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ বৈঠকের ঘোষণা আসে।

পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ট্রাম্প একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী বলেও ব্রিফিংয়ে লেভিট সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছেন।

এদিকে জেলেনস্কি ও তার মিত্র পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা এবং ইউরোপের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিইভকে ছাড়া বৈঠক থেকে সংঘাত সমাধানে কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

রুশ প্রেসিডেন্ট এর আগে বলেছিলেন, নীতিগতভাবে জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে তার আপত্তি নেই, কিন্তু তার আগে ‘অবশ্যই কিছু শর্ত সৃষ্টি হতে হবে’।

মস্কো বারবার বলে আসছে, ইউক্রেইনের নেতা বাস্তব অবস্থা অস্বীকার করছেন এবং অপ্রয়োজনে এমন একটা সংঘাত দীর্ঘায়িত করছেন, যা তিনি কোনোভাবেই জিতবেন না।

কোনো চুক্তি হলে ইউক্রেইনের হয়ে তাতে স্বাক্ষর করার এখতিয়ার জেলেনস্কির আদৌ আছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে ক্রেমলিন। প্রেসিডেন্টে হিসেবে জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছরই শেষ হয়েছে, কিন্তু জরুরি অবস্থার দোহাই দিয়ে তিনি নতুন নির্বাচন দিচ্ছেন না।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম