০৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:৪৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ১০২ বার পড়া হয়েছে

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের ট্রেনলাইনের জোড়বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদরের গড়াশিন মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে হাবিল মিয়া (১৭) এবং একই উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ময়শানন্দনাল গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৫)। তারা দুজনই ভাতকুড়া এলাকায় আলাউদ্দিন টেক্সটাইলের শ্রমিক ছিলেন। জানা যায়, একসঙ্গে কাজের সুবাদে তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়।

পারিবারিকভাবে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে বাসাইল জোড়বাড়ী এলাকায় গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। বুধবার সকালে স্থানীয়রা তাদের লাশ দেখতে পেয়ে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় প্রেমিক হাবিলের পরিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। নিহত হাবিলের বড় ভাই আমির হামজা বলেন, তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

পারিবারিকভাবে মেনে না নেওয়ায় অভিমানে তারা আত্মহত্যা করেছে। জোড়বাড়ী লেভেল ক্রসিংয়ের গেট কিপার সুলতান মাহমুদ বলেন, ভোর ৪টার দিকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। পরে রেলওয়ে পুলিশ এসে নিহতদের লাশ নিয়ে যায়। ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফজলুল হক বলেন, প্রেমঘটিত কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১১:৪৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের ট্রেনলাইনের জোড়বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদরের গড়াশিন মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে হাবিল মিয়া (১৭) এবং একই উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ময়শানন্দনাল গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৫)। তারা দুজনই ভাতকুড়া এলাকায় আলাউদ্দিন টেক্সটাইলের শ্রমিক ছিলেন। জানা যায়, একসঙ্গে কাজের সুবাদে তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়।

পারিবারিকভাবে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে বাসাইল জোড়বাড়ী এলাকায় গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। বুধবার সকালে স্থানীয়রা তাদের লাশ দেখতে পেয়ে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় প্রেমিক হাবিলের পরিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। নিহত হাবিলের বড় ভাই আমির হামজা বলেন, তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

পারিবারিকভাবে মেনে না নেওয়ায় অভিমানে তারা আত্মহত্যা করেছে। জোড়বাড়ী লেভেল ক্রসিংয়ের গেট কিপার সুলতান মাহমুদ বলেন, ভোর ৪টার দিকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। পরে রেলওয়ে পুলিশ এসে নিহতদের লাশ নিয়ে যায়। ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফজলুল হক বলেন, প্রেমঘটিত কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।