“নির্বাচন কমিশন একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে; ফলে সব প্যানেলের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে,” বলেন তিনি।
ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে: আব্দুল কাদের

- আপডেট সময় ০৯:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচারে প্যানেলগুলোর আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের।
নির্বাচন কমিশন ‘একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “এর ফলে সব প্যানেলের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে। প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। আচরণবিধি ঘোষণার পর কেউ মানছে না।”
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ এর ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে লড়বেন এনসিপির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) নেতারা। এ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী হয়েছেন আব্দুল কাদের। আর আবু বাকের মজুমদার লড়বেন জিএস পদে।
আব্দুল কাদের বলেন, “ক্যাম্পাসে একটা গোষ্ঠী নব্বইয়ের ডাকসু নির্বাচনের পর গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি চালু করেছিল। পঁচিশের ডাকসু নির্বাচনের পর আবার সেই দিনগুলো ফেরত আসবে কিনা আশঙ্কা করছে তারা।
“আমরা ৫ অগাস্টের পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা দেখছি। কেননা একটা ছেলে একটা মেয়ে বসে থাকলে তাদের মোরাল পুলিশিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে।”
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় প্রচারে গিয়েছিলেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ প্যানেলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, “সেখানে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। তারা (শিক্ষার্থীরা) আমাদের কাছে তাদের শঙ্কা প্রকাশ করেছে।”
ডাকসু নির্বাচনের সময় ক্যাম্পাসে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন ঠিক থাকলে কোনো সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই। এটা মশা মারতে কামানের ব্যবহার।”
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ প্যানেল থেকে জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, “আমরা দেখেছি মনোনয়ন ফরম জমার শেষদিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেইনি।
“আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে দেখছি, ক্যাম্পাস ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩টার মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেছে। কিন্তু তারপরও অনেকে সরায়নি। আমাদের কাছে শঙ্কা লাগছে এ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে কিনা? কেন না যারাই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অক্ষমতা দেখাচ্ছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম