ভোট গণনার সময় শিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম কেন ভোট গণনা কক্ষে প্রবেশ করেছেন? প্রশ্ন জুবেলের।
ডাকসু ভোটে ‘যুদ্ধাংদেহী পরিস্থিতির’ দায় প্রশাসনের: প্রতিরোধ পর্ষদ

- আপডেট সময় ১১:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী করছে বাম ধারার সাত সংগঠনের প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদ।
একই সাথে হুঁশিয়ার করে তারা বলেছে, ভোট গণনায় কোনো রকম কারচুপি করা হলে, শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।
মঙ্গলবার দিনভর নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরতে রাত সাড়ে ৯টায় মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থীরা।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ সময় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে চারটি প্যানেলের তরফে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্থীর ব্যালটে আগে থেকে টিক দিয়ে রাখার অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে টিএসসিতে বিক্ষোভও করেছে ছাত্রদল।
রাতে ভোট গণনা চলাকালে খালি ব্যালটবক্স ভরে ফেলার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ খবর পাওয়া গেছে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিকাল থেকেই প্রবেশপথগুলোতে লোকজনের জমায়েত বাড়তে থাকে। শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও জটলা বাড়তে থাকায় সন্ধ্যার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জনবলও বাড়াতে দেখা যায়।
প্রবেশপথে জমায়েত নিয়ে ছাত্রদল-শিবিরের তরফে পাল্টাপাল্টি অবস্থানের অভিযোগ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় প্রতিরোধ পর্ষদের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ (ইমি) অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের দায়িত্বহীন আচরণের কারণেই ‘যুদ্ধাংদেহী পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে।
এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এই ভিপি প্রার্থী বলেন, “নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আগে থেকেই করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই। আজকে চূড়ান্তভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাতেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
এ সময় এজিএস প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল বলেছেন, “শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হারে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করে ভোট গণনায় কারচুপির চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটগ্রহণের সময়ও প্রশাসন নানাভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
ভোট গণনার সময় শিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম কেন ভোট গণনা কক্ষে প্রবেশ করেছেন? সেই প্রশ্নও তোলেন জুবেল।
তিনি বলেন, “ভোট গণনা কক্ষে কীভাবে সাদিক কায়েম প্রবেশ করলেন। পরে প্রতিবাদের মুখে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর ছাত্রদলও ভোট গণনার কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। এতে পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।”
এখন একটি যুদ্ধাংদেহী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে জুবেল বলেন, “আপনারা পলাশী যান, কাঁটাবন যান- দেখবেন দুটি রাজনৈতিক দল মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা এ ধরণের পরিস্থিতি চাই না।”
আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায় নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জুবেল।
নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম