০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ডাচ্-বাংলার সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই আসামিরা সিলেটে যেকোনো সময় গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ১২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার আসামিদের অবস্থান সিলেটে। যেকোনো সময় তারা গ্রেফতার হবে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে টাকার তিনটি ট্রাংক উদ্ধার করে ডিবি।

প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি জানায়, তাদের ধারণা তারা ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। গণনার পরই প্রকৃত হিসাব জানা যাবে। পরে গণনা করে দেখা যায় টাকা উদ্ধার হয়েছে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার। অন্যদিকে মামলার এজাহারে কোনো উদ্ধার দেখানো হয়নি। শুক্রবার থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খোলা হয়। এরপর ওইসব ট্রাংকের টাকা গুনে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকাসহ ছিনতাইকারীদের ধরা।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া চারটি ট্রাংকের মধ্যে তিনটি উদ্ধার করা হয়। যেহেতু চারটি ট্রাংকের মধ্যে টাকা ছিল। এর মধ্যে তিনটিই উদ্ধার হয়েছে। তাই অনুমান করে আমি ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা বলেছিলাম। টাকা আমরা গুনিনি। গুনেছে থানা পুলিশ। গণনার সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন টাকাসহ ট্রাক উদ্ধার করেছি, তখন সেগুলো লক ছিল। সাংবাদিকদেরও লক অবস্থায় দেখানো হয়েছে। ট্রাংকের চাবি ছিল সিকিউরিটি কোম্পানির কাছে।

ট্রাংকগুলো তুরাগ থানায় নিয়ে থানা পুলিশ ও সিকিউরিটি কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে টাকা গণনা করা হয়। আমরা ট্রাংক উদ্ধার করেছি, কিন্তু টাকা গুনিনি। এদিকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় টাকা উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, মামলা আগে করা হয়েছিল। পরে টাকা উদ্ধার হয়। এ কারণে টাকার বিষয়টি মামলায় উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, এ মামলায় আমরা এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে ফিল্মি স্টাইলে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের ধরতে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ডাচ্-বাংলার সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই আসামিরা সিলেটে যেকোনো সময় গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার আসামিদের অবস্থান সিলেটে। যেকোনো সময় তারা গ্রেফতার হবে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে টাকার তিনটি ট্রাংক উদ্ধার করে ডিবি।

প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি জানায়, তাদের ধারণা তারা ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। গণনার পরই প্রকৃত হিসাব জানা যাবে। পরে গণনা করে দেখা যায় টাকা উদ্ধার হয়েছে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার। অন্যদিকে মামলার এজাহারে কোনো উদ্ধার দেখানো হয়নি। শুক্রবার থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সামনে উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাংক খোলা হয়। এরপর ওইসব ট্রাংকের টাকা গুনে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকাসহ ছিনতাইকারীদের ধরা।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া চারটি ট্রাংকের মধ্যে তিনটি উদ্ধার করা হয়। যেহেতু চারটি ট্রাংকের মধ্যে টাকা ছিল। এর মধ্যে তিনটিই উদ্ধার হয়েছে। তাই অনুমান করে আমি ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা বলেছিলাম। টাকা আমরা গুনিনি। গুনেছে থানা পুলিশ। গণনার সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন টাকাসহ ট্রাক উদ্ধার করেছি, তখন সেগুলো লক ছিল। সাংবাদিকদেরও লক অবস্থায় দেখানো হয়েছে। ট্রাংকের চাবি ছিল সিকিউরিটি কোম্পানির কাছে।

ট্রাংকগুলো তুরাগ থানায় নিয়ে থানা পুলিশ ও সিকিউরিটি কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে টাকা গণনা করা হয়। আমরা ট্রাংক উদ্ধার করেছি, কিন্তু টাকা গুনিনি। এদিকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় টাকা উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, মামলা আগে করা হয়েছিল। পরে টাকা উদ্ধার হয়। এ কারণে টাকার বিষয়টি মামলায় উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, এ মামলায় আমরা এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে ফিল্মি স্টাইলে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের ধরতে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।