নতুন করে আবার বিশেষ এ ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধন এক লাফে বেড়ে হল ৩০০ কোটি

- আপডেট সময় ০৯:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২০ বার পড়া হয়েছে
ডিজিটাল ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালায় এর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত সার্কুলার সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাছে পাঠিয়েছে।
এদিকে নতুন করে আবার ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগির এজন্য আবেদন চাওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ২৭ অগাস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যাংক সংক্রান্ত নীতিমালাতেও (গাইডলাইন) আরও সংশোধন করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটা নিয়ে কাজ চলছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং গাইডলাইনের সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকা মূলধন থাকতে হয়।
দেশে ২০২৩ সালের জুনে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের পথ সুগম করতে নীতিমালা অনুমোদন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন ধরনের এ ব্যাংক গড়তে উদ্যোক্তাদের মূলধন ১২৫ কোটি টাকা লাগবে বলে ওই নীতিমালায় বলা হয়েছিল।
ওই নীতিমালা ধরে সেসময় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মত ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন আহ্বান করলে ৫২টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৯টি প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিচালনা পর্ষদের সভায়।
প্রথম ধাপে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হল নগদ, এসিআই এর ‘কড়ি’, কয়েকটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগ ডিজি টেন, ব্র্যাকের উদ্যোগ বিকাশ ও ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোগ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
শুরুতে এই পাঁচ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা পর্যালোচনার পর আরও তিনটিকে কার্যক্রম শুরুর জন্য লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মধ্যে ব্যাংকগুলোর যৌথ উদ্যোগ থাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী কোম্পানি বিকাশ এবং ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংকের আলাদা লাইসেন্স লাগবে না।
পরে ২০২৩ সালের আগস্টে নগদ ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির নামে এলওআই দেওয়া হয়।
তবে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ‘পাচারের টাকায়’ বিদেশে কোম্পানি খুলে এ দুটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অভিযোগ সামনে আসে। যে কারণে নগদ ব্যাংক পিএলসির লাইসেন্স স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপরদিকে ‘কড়ি ডিজিটালকে’ এখনও লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম