০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ দেশের অন্যতম বাংলাদেশ: জাতিসংঘ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৮:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ম্যামি মিজুটরি বলেছেন, বাংলাদেশ ৩০টি দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় আছে। এসব দেশকে আগাম বার্তা দিতে প্রকল্পের নির্দেশনা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন ম্যামি। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ম্যামি বলেন, আমি বাংলাদেশে এসেছি এটা দেখতে যে, দেশটি দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটুকু সক্ষম। বিশেষ করে সাইক্লোন কিভাবে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশ এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করে মৃত্যুহার কমিয়েছে। বিশ্বের জন্য এটি বড় উদাহরণ। আমরা এদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে আরও সহযোগিতা করতে আগ্রহী। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তন দিন দিন ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে এসব মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি কিভাবে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করা যায় সেটি দেখতে। বিশ্বের দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে আগাম বার্তা কিভাবে দেওয়া যায়, সে ধরনের প্রকল্পের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু সেগুলো পুরোনো। সেজন্য নতুন পদ্ধতি ব্যবহারে তাদের কিভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। বাংলাদেশের অনেক প্রকল্পেই জাতিসংঘ সহায়তা করে আসছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় মানুষদের সহায়তার জন্য কাজ করছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে এসব এলাকায় নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করা হচ্ছে। এদেশ প্রতি বছরই বন্যায় প্লাবিত হয়। সরকার বন্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে বলে জেনেছি। দরিদ্র ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি আমরা।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, জাতিসংঘ আমাদের নানা ধরনের সহায়তা করে থাকে। দেশে ঝড়, ভূমিকম্প ও আবহাওয়া সম্পর্কিত দুর্যোগ আসার আগে এর আগামবার্তা নিয়ে কিভাবে প্রশমন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, এক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো।

৩০টি দেশকে তারা আগাম বার্তার প্রকল্পের জন্য বেছে নিয়েছে। এ পদ্ধতিকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বা মানবসৃষ্ট যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় তারা সহায়তা করবে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ দেশের অন্যতম বাংলাদেশ: জাতিসংঘ

আপডেট সময় ০৮:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ম্যামি মিজুটরি বলেছেন, বাংলাদেশ ৩০টি দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় আছে। এসব দেশকে আগাম বার্তা দিতে প্রকল্পের নির্দেশনা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন ম্যামি। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ম্যামি বলেন, আমি বাংলাদেশে এসেছি এটা দেখতে যে, দেশটি দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটুকু সক্ষম। বিশেষ করে সাইক্লোন কিভাবে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশ এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করে মৃত্যুহার কমিয়েছে। বিশ্বের জন্য এটি বড় উদাহরণ। আমরা এদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে আরও সহযোগিতা করতে আগ্রহী। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তন দিন দিন ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে এসব মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি কিভাবে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করা যায় সেটি দেখতে। বিশ্বের দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে আগাম বার্তা কিভাবে দেওয়া যায়, সে ধরনের প্রকল্পের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু সেগুলো পুরোনো। সেজন্য নতুন পদ্ধতি ব্যবহারে তাদের কিভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। বাংলাদেশের অনেক প্রকল্পেই জাতিসংঘ সহায়তা করে আসছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় মানুষদের সহায়তার জন্য কাজ করছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে এসব এলাকায় নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করা হচ্ছে। এদেশ প্রতি বছরই বন্যায় প্লাবিত হয়। সরকার বন্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে বলে জেনেছি। দরিদ্র ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি আমরা।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, জাতিসংঘ আমাদের নানা ধরনের সহায়তা করে থাকে। দেশে ঝড়, ভূমিকম্প ও আবহাওয়া সম্পর্কিত দুর্যোগ আসার আগে এর আগামবার্তা নিয়ে কিভাবে প্রশমন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, এক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো।

৩০টি দেশকে তারা আগাম বার্তার প্রকল্পের জন্য বেছে নিয়েছে। এ পদ্ধতিকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বা মানবসৃষ্ট যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় তারা সহায়তা করবে।