০৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

দেশকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে সরকার: রব

মিজানুর রহমান খান
  • আপডেট সময় ১২:০৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৮০ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে গ্রেপ্তার হওয়া ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিমসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে’এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবদুর রব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে। রিজার্ভ নাই, ডলার নাই। টাকা পাচারকারীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের খাতিরের ব্যবসায়ীরা হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন। দুই কোটি টাকার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ বছর সাজা দিলেন, ১ হাজার কোটি ডলার পাচারের জন্য কত সাজা হওয়া প্রয়োজন? জনগণকে শোষণ করে এই রাষ্ট্র এখন ধনী ও লুটেরাদের।ভারত ও চীনের এ প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন পুলিশকে হুঁশিয়ার করেছে। ভারত বলে দিয়েছে, দেশের মানুষের ইচ্ছানুসারে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের শরিক বাম নেতারা চীনে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।

একে একে এই সরকারের সব বাতি নিভে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। ছবিতেও তাদের বিষণ্ন লাগে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির দিন পুলিশের নাকের ডগায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী অস্ত্রের মহড়া দিল। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো না। এক দেশে দুই আইন চলছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের জন্য আলাদা আইন। ২৯ জুলাই বিরোধীদের ‘ড্রেস রিহার্সে’ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আসল চেহারা দেখিয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকারের লুটপাটের ভাগ পুলিশ ও প্রশাসন পায়। কিছু লোকের পকেট ভরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়। ক্ষমতায় থাকতে কে কার পা ধরছে, তা জনগণ দেখছে। আর আওয়ামী লীগ তাদের লোকজন দিয়ে বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশের ছায়াতলে থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশ এখন ‘পুলিশ লীগ’ এটা স্পষ্ট। কীভাবে ভোট কেটে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখবে, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন সভা করছে।
আবদুর রবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্যে রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।

 

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে সরকার: রব

আপডেট সময় ১২:০৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে গ্রেপ্তার হওয়া ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ সেলিমসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে’এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবদুর রব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে। রিজার্ভ নাই, ডলার নাই। টাকা পাচারকারীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের খাতিরের ব্যবসায়ীরা হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন। দুই কোটি টাকার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ বছর সাজা দিলেন, ১ হাজার কোটি ডলার পাচারের জন্য কত সাজা হওয়া প্রয়োজন? জনগণকে শোষণ করে এই রাষ্ট্র এখন ধনী ও লুটেরাদের।ভারত ও চীনের এ প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন পুলিশকে হুঁশিয়ার করেছে। ভারত বলে দিয়েছে, দেশের মানুষের ইচ্ছানুসারে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের শরিক বাম নেতারা চীনে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।

একে একে এই সরকারের সব বাতি নিভে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। ছবিতেও তাদের বিষণ্ন লাগে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির দিন পুলিশের নাকের ডগায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী অস্ত্রের মহড়া দিল। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো না। এক দেশে দুই আইন চলছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের জন্য আলাদা আইন। ২৯ জুলাই বিরোধীদের ‘ড্রেস রিহার্সে’ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আসল চেহারা দেখিয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকারের লুটপাটের ভাগ পুলিশ ও প্রশাসন পায়। কিছু লোকের পকেট ভরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়। ক্ষমতায় থাকতে কে কার পা ধরছে, তা জনগণ দেখছে। আর আওয়ামী লীগ তাদের লোকজন দিয়ে বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশের ছায়াতলে থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশ এখন ‘পুলিশ লীগ’ এটা স্পষ্ট। কীভাবে ভোট কেটে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখবে, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন সভা করছে।
আবদুর রবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্যে রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।