ভোলার তজুমদ্দিনে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ ঘটনায় এরই মধ্যে ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের নেতা ফরিদ উদ্দিনকে এবং ছাত্রদলের আরও দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দেশ পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই ধর্ষণের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

- আপডেট সময় ১২:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে

ভোলার তজুমদ্দিনে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভোলার তজুমদ্দিনে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও, দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই নারীর ওপর এ ধরনের বর্বর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।”
বুধবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তজুমদ্দিনের এক দম্পতি সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে তার বাসায় যান স্বামী। সেখানে গেলে কয়েকজন তাকে আটকে রেখে টাকার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালান। তার প্রথম স্ত্রীকে টাকা নিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়।
রোববার সকালে প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। সেটি দিতে অসম্মতি জানালে ওই ব্যক্তিকে পাইপ ও রড দিয়ে বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে তাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে তার প্রথম স্ত্রীকে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণ’ করা হয়। এরপর সেই ব্যক্তি ও তার প্রথম স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন ‘ধর্ষণ’ করেন বলে অভিযোগ দম্পতির।
এ ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অপরদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শ্রমিকদলের নেতা ফরিদ উদ্দিনকে এবং ছাত্রদলের আরও দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। ভোলায় নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দুষ্কৃতকারীদের সংঘটিত এ ধরনের বর্বরোচিত ও পশুর চেয়েও হিংস্রতায় গোটা দেশের মানুষ হতভম্ব।
“নারীর ওপর ধারাবাহিক এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় দেশের নারী সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমনের কোনো বিকল্প নেই।”
ভোলা প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম