‘দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে অমানবিক জীবনযাপন করছে শ্রমিকরা’
- আপডেট সময় ০৭:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
- / ৮২ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে অমানবিক জীবনযাপন করছে তারা। রোববার (৩০ এপ্রিল) মে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দিন। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও শ্রমের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমেরিকায় শিকাগো শহরে ১৮৮৬ সালের মে মাসে রচিত হয়েছিল এক রক্তমাখা ইতিহাস। শোষকদের বিরুদ্ধে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের আত্মহুতির রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের ন্যায্য অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।
ফখরুল বলেন, মহান মে দিবস ঐতিহাসিকভাবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শ্রমজীবী মানুষের রক্তঝরা ঘামেই বিশ্ব সভ্যতার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। শ্রমিকের ঐতিহাসিক অবদানের ফলেই বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। মে দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ হতে হবে কর্মক্ষেত্রের মৌলিক নীতি ও অধিকার’। মে দিবসে এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার জরুরি। অথচ আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত শ্রমিকরা তাদের এই ন্যায্যতা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে অমানবিক জীবনযাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান ও শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে সবসময় আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় এবং তা রক্ষায় এই দলটি প্রতিশ্রুতি পালনে কখনোই পিছপা হয়নি। এই মহান দিনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ও উদ্যোগী হওয়ার জন্য আহবান জানান বিএনপির এই নেতা।