১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
গাজায় বিমান হামলা

ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জেনিন ছাড়ল ইসরাইলিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির ছেড়ে চলে গেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। গত সোমবার ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ১ হাজারের বেশি সেনা শহরটিতে আসে। এরপর শুরু হয় তাদের ধ্বংসযজ্ঞ। যা মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। ইসরাইলিদের এবারের হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় প্রাণ গেছে এক ইসরাইলি সেনার। খবর আলজাজিরা/বিবিসির।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তারা দেখতে পান রাতের আঁধারে ইসরাইলি সেনাদের বহর জেনিন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে তাদের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।  ইসরাইলিদের হামলায় যে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা। ইসরাইলে সেনাবাহিনী দাবি করে, জেনিনে বিপুল অস্ত্র মজুত করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা। যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আর এ হুমকি মোকাবিলায় জেনিনের শরণার্থী শিবিরে জঙ্গি অবকাঠামো ধ্বংস করতে অভিযান চালিয়েছে তারা। সোমবার ড্রোন হামলার মাধ্যমে তাদের এ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।
ইসরাইলি সেনারা চলে যাওয়ার পরÑ জেনিনে ফেরা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। তারা সামরিক আগ্রাসনের মুখে বাধ্য হয়ে শরণার্থী শিবির ছাড়তে বাধ্য হন। রয়টার্স জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ রাতের বেলাতেই ফিরে এসে নিজেদের বাড়িতে যান; দেখার চেষ্টা করেন এই হামলায় তাদের বাড়ির জিনিসপত্র কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে এক কিলোমিটারের কম জায়গাজুড়ে তৈরি জেনিন শরণার্থী শিবিরে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। সম্প্রতি এখানে ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এতে করে শিবিরে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা ॥ ফিলিস্তিনের জেনিনে দুই দিনের আগ্রাসনের শেষে, গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
বুধবার মধ্যরাতের একটু পর দখলদার ইসরাইলিদের বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে গাজা। ইসরাইলের ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজা থেকে বুধবার রাতে রকেট হামলা চালানো হয়। এর জবাবে সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তারা দাবি করেছে, এ হামলায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দল হামাসের একটি গোপন (মাটির নিচে) অস্ত্র তৈরির অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ‘হামাসের রকেটের যন্ত্রাংশ তৈরির অবকাঠামোয়ও’ হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরাইলের নতুন বিমান হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি হামাস। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার দিনের আলো ফোটার আগে গাজার স্কাইলাইনে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলার পর বড় বিস্ফোরণ দেখা যায়।
এদিকে গাজা থেকে যে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে, তার সবগুলোই ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। রকেট ছোড়ার পরপরই ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের সেরত এবং আশপাশের শহরে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।  স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলের আয়রনে ডোমের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ রকেট হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করা হলেও; সশস্ত্র দলটি এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় বিমান হামলা

ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জেনিন ছাড়ল ইসরাইলিরা

আপডেট সময় ০৭:২২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির ছেড়ে চলে গেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। গত সোমবার ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ১ হাজারের বেশি সেনা শহরটিতে আসে। এরপর শুরু হয় তাদের ধ্বংসযজ্ঞ। যা মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। ইসরাইলিদের এবারের হামলায় অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় প্রাণ গেছে এক ইসরাইলি সেনার। খবর আলজাজিরা/বিবিসির।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তারা দেখতে পান রাতের আঁধারে ইসরাইলি সেনাদের বহর জেনিন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে তাদের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।  ইসরাইলিদের হামলায় যে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা। ইসরাইলে সেনাবাহিনী দাবি করে, জেনিনে বিপুল অস্ত্র মজুত করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা। যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আর এ হুমকি মোকাবিলায় জেনিনের শরণার্থী শিবিরে জঙ্গি অবকাঠামো ধ্বংস করতে অভিযান চালিয়েছে তারা। সোমবার ড্রোন হামলার মাধ্যমে তাদের এ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।
ইসরাইলি সেনারা চলে যাওয়ার পরÑ জেনিনে ফেরা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। তারা সামরিক আগ্রাসনের মুখে বাধ্য হয়ে শরণার্থী শিবির ছাড়তে বাধ্য হন। রয়টার্স জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ রাতের বেলাতেই ফিরে এসে নিজেদের বাড়িতে যান; দেখার চেষ্টা করেন এই হামলায় তাদের বাড়ির জিনিসপত্র কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে এক কিলোমিটারের কম জায়গাজুড়ে তৈরি জেনিন শরণার্থী শিবিরে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। সম্প্রতি এখানে ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এতে করে শিবিরে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা ॥ ফিলিস্তিনের জেনিনে দুই দিনের আগ্রাসনের শেষে, গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
বুধবার মধ্যরাতের একটু পর দখলদার ইসরাইলিদের বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে গাজা। ইসরাইলের ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজা থেকে বুধবার রাতে রকেট হামলা চালানো হয়। এর জবাবে সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তারা দাবি করেছে, এ হামলায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দল হামাসের একটি গোপন (মাটির নিচে) অস্ত্র তৈরির অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ‘হামাসের রকেটের যন্ত্রাংশ তৈরির অবকাঠামোয়ও’ হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরাইলের নতুন বিমান হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি হামাস। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার দিনের আলো ফোটার আগে গাজার স্কাইলাইনে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলার পর বড় বিস্ফোরণ দেখা যায়।
এদিকে গাজা থেকে যে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে, তার সবগুলোই ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। রকেট ছোড়ার পরপরই ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের সেরত এবং আশপাশের শহরে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।  স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলের আয়রনে ডোমের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলের আঘাতে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ রকেট হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করা হলেও; সশস্ত্র দলটি এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।