০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
একটি যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

নতুন বেতন কাঠামো সময়সীমার আগেই: প্রধান উপদেষ্টাকে চেয়ারম্যান

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:৩০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রোববার বিকালে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।

 

নির্ধারিত সময়ের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান।

রোববার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়ে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা একটি যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের নির্দেশ দেন, যা বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালুর ওপর জোর দেন। বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ। বেতন বাড়ালেও দেখা যায় এক অসুখেই অনেকে সম্বল হারিয়ে ফেলেন। ইন্স্যুরেন্স থাকলে পরিবার নিশ্চিন্তে থাকে। এ ধরনের কিছু মডেল প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আছে।”

এক দশক পর গত ২৭ জুলাই সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে সরকার।

কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয় কমিশনকে।

জাতীয় বেতন কমিশন ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ বলেন, গত এক দশকে মূল্যস্ফীতি-জিডিপি বাড়লেও সে অনুপাতে বেতন বাড়েনি। একটি সময়োপযোগী বেতনকাঠামো নির্ধারণের পাশাপাশি কমিশন বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা বেতনকাঠামো গঠন; আয়কর পরিশোধ বিবেচনায় বেতনকাঠামো; বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াতসহ অন্যান্য ভাতা নিরূপণ; মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; সময়য়োপযোগী পেনশনসহ অবসর–সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের মান মূল্যায়নে কাজ করছে।

তিনি মূল্যয়ন অনুযায়ী একটি বেতনকাঠামো প্রণয়ন, টেলিফোন, গাড়ি ও মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক সুবিধা, নগদ ও রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ, বেতনের গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টে অসংগতি থাকলে তা দূরীকরণে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে বলে বৈঠকে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বেতন কাঠামো নির্ধারণে ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এর আগেই আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।”

বেতন কমিশন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।

রোববারের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

একটি যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

নতুন বেতন কাঠামো সময়সীমার আগেই: প্রধান উপদেষ্টাকে চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ১১:৩০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

নির্ধারিত সময়ের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান।

রোববার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়ে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা একটি যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়নের নির্দেশ দেন, যা বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালুর ওপর জোর দেন। বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ। বেতন বাড়ালেও দেখা যায় এক অসুখেই অনেকে সম্বল হারিয়ে ফেলেন। ইন্স্যুরেন্স থাকলে পরিবার নিশ্চিন্তে থাকে। এ ধরনের কিছু মডেল প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আছে।”

এক দশক পর গত ২৭ জুলাই সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে সরকার।

কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয় কমিশনকে।

জাতীয় বেতন কমিশন ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ বলেন, গত এক দশকে মূল্যস্ফীতি-জিডিপি বাড়লেও সে অনুপাতে বেতন বাড়েনি। একটি সময়োপযোগী বেতনকাঠামো নির্ধারণের পাশাপাশি কমিশন বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা বেতনকাঠামো গঠন; আয়কর পরিশোধ বিবেচনায় বেতনকাঠামো; বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াতসহ অন্যান্য ভাতা নিরূপণ; মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; সময়য়োপযোগী পেনশনসহ অবসর–সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের মান মূল্যায়নে কাজ করছে।

তিনি মূল্যয়ন অনুযায়ী একটি বেতনকাঠামো প্রণয়ন, টেলিফোন, গাড়ি ও মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক সুবিধা, নগদ ও রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ, বেতনের গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টে অসংগতি থাকলে তা দূরীকরণে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে বলে বৈঠকে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বেতন কাঠামো নির্ধারণে ছয় মাস সময় দেওয়া হলেও এর আগেই আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।”

বেতন কমিশন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।

রোববারের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম