০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৩০ মার্চ

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১২৩ বার পড়া হয়েছে

অন্যের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অবৈধ বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এর আগে, সোমবার (৬ মার্চ) এই মামলার নথি আদালতে এসে পৌঁছায়। পরে আদালতের বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মেদ।

একই সঙ্গে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত। গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় বাদী ও বিবাদী পক্ষের পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন একই আদালত। এর আগে, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

একই সঙ্গে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আগের বিয়ে গোপন করে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয় নাসিরের বিরুদ্ধে। সে সময় রাকিব হাসান জানান, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু।

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন। মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশুকন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৩০ মার্চ

আপডেট সময় ১১:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

অন্যের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অবৈধ বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এর আগে, সোমবার (৬ মার্চ) এই মামলার নথি আদালতে এসে পৌঁছায়। পরে আদালতের বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মেদ।

একই সঙ্গে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত। গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় বাদী ও বিবাদী পক্ষের পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন একই আদালত। এর আগে, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

একই সঙ্গে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আগের বিয়ে গোপন করে অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয় নাসিরের বিরুদ্ধে। সে সময় রাকিব হাসান জানান, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু।

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন। মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশুকন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান।