০৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ জানিয়েছেন, দিদারুল ইসলামের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে, আরেকটি সন্তান আসছে।

নিউ ইয়র্কে গুলিতে নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি বাংলাদেশে

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিহত দিদারুল ইসলাম

 

নিউ ইয়র্কের ম্যানহটনে গুলিতে নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন, যার বাড়ি বাংলাদেশে।

৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম সাড়ে তিন বছর ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) কাজ করে আসছিলেন।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ জানিয়েছেন, দিদারুল ইসলামের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে, আরেকটি সন্তান আসছে।

সোমবার ২৮ জুলাই  এক অস্ত্রধারী ম্যানহটনের একটি ভবনে ঢুকে গুলি করে চারজনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করে।

ওই ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) সদরদপ্তর এবং ব্ল্যাকস্টোনসহ বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী কোম্পানির দপ্তর আছে।

সিএনএন লিখেছে, ঘটনার সময় দিদারুল ডিউটিতে ছিলেন না।

 

 

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস সোমবার ২৮ জুলাই রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে এসে নিউ ইয়র্কে থিতু হয়েছিলেন । তিনি তার বাবা-মার একমাত্র সন্তান।

ঘটনার পর দিদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা যাদের সঙ্গেই কথা বলেছি, তারা সবাই বলেছেন, তিনি (দিদার) ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, যিনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতেন এবং চেষ্টা করতেন খোদাভক্ত একজন মানুষের মত জীবনযাপন করতে।”

 

পুলিশের শেয়ার করা ছবিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী। ছবি: সিএনএন

 

আর পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ বলেছেন, “যা করার কথা, তিনি তাই করছিলেন। নিজের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন, চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছেন। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পরনে ছিল সেই পোশাক, যা শহরের প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করছিল। যেভাবে তিনি জীবন কাটিয়েছেন, সেভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন—একজন নায়ক হিসেবে।” সূত্র :  সিএনএন

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ জানিয়েছেন, দিদারুল ইসলামের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে, আরেকটি সন্তান আসছে।

নিউ ইয়র্কে গুলিতে নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি বাংলাদেশে

আপডেট সময় ১০:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

 

নিউ ইয়র্কের ম্যানহটনে গুলিতে নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন, যার বাড়ি বাংলাদেশে।

৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম সাড়ে তিন বছর ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) কাজ করে আসছিলেন।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ জানিয়েছেন, দিদারুল ইসলামের স্ত্রী আট মাসের গর্ভবতী। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে, আরেকটি সন্তান আসছে।

সোমবার ২৮ জুলাই  এক অস্ত্রধারী ম্যানহটনের একটি ভবনে ঢুকে গুলি করে চারজনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করে।

ওই ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) সদরদপ্তর এবং ব্ল্যাকস্টোনসহ বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী কোম্পানির দপ্তর আছে।

সিএনএন লিখেছে, ঘটনার সময় দিদারুল ডিউটিতে ছিলেন না।

 

 

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস সোমবার ২৮ জুলাই রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে এসে নিউ ইয়র্কে থিতু হয়েছিলেন । তিনি তার বাবা-মার একমাত্র সন্তান।

ঘটনার পর দিদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা যাদের সঙ্গেই কথা বলেছি, তারা সবাই বলেছেন, তিনি (দিদার) ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, যিনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতেন এবং চেষ্টা করতেন খোদাভক্ত একজন মানুষের মত জীবনযাপন করতে।”

 

পুলিশের শেয়ার করা ছবিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী। ছবি: সিএনএন

 

আর পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ বলেছেন, “যা করার কথা, তিনি তাই করছিলেন। নিজের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন, চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছেন। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার পরনে ছিল সেই পোশাক, যা শহরের প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করছিল। যেভাবে তিনি জীবন কাটিয়েছেন, সেভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন—একজন নায়ক হিসেবে।” সূত্র :  সিএনএন

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম