নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ৮৪ বার পড়া হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে- সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তিনিই এটি ঠিক করবেন। সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশ অ্যাট অ্যা গ্ল্যান্স’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধি রাখা হতে পারে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সংসদে নেই, যদি সংসদে থাকত হয়তো বা সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকতো, যদিও এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তারা তো সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছে এবং সংবিধান অনুযায়ী সেটি সম্ভবপর নয়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকালে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন আরেকটি সরকার গঠন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচকালে ছোট আকারে সরকার হবে, নাকি বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছেন, তাদের সবাই থাকবেন, নাকি আমাদের শরিকদের মধ্যে থেকে কাউকে নেওয়া হবে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। আমরা মনে করি বিএনপি দেশে একটি গন্ডগোল পাকাতে চায়, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের দাবি এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য, এ নিয়ে সংলাপ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি অভিযোগ করছে, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধীদের ওপর লেলিয়ে দিচ্ছে, ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় আমাদের দেশে আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে বিধায় তারা অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তারা শুধু সন্ত্রাসী, অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহৃত হচ্ছে না। এদিকে সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নুরের কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন ড. হাছান মাহমুদ। নুরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আঁতাত রয়েছে বলে রেজা কিবরিয়ার দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রেজা কিবরিয়া অনেক কথা বলেছেন, আবার নুর রেজা কিবরিয়ার সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। আমাদের দলের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে নুরের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি বলেন, নুরের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ তো নানা সময় নানাজন করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নুরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন যে, তিনি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সঙ্গে অন্তত তিনবার বৈঠক করেছেন। এবং সেটির কোনো ইফেকটিভ প্রতিউত্তর নুরের কাছ থেকে আসেনি। সাম্প্রতিক নুর ও রেজা কিবরিয়ার যে বাহাস, এগুলো আমরা উপভোগ করছি। সেগুলো কৌতুক ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। গণঅধিকার পরিষদের দুই নেতার পাল্টিাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রেজা কিবরিয়া ও নূরুলহক নুরু কিছু কৌতুকের জন্ম দিয়েছেন, তাদের কোনো জনভিত্তি নেই। তারা শুধু টেলিভিশনে আর নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত। এবং জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্রব নেই। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব কথাবার্তা আর যেসব কারণে তাদের দলের ভাঙন, তবহিল তসরুপ, কারও সঙ্গে আঁতাত, বিদেশি বিভিন্ন অপশক্তির সঙ্গে মেলামেশা, তাদের কাছ থেকে অর্থগ্রহণ, এগুলো তাদের জন্যই প্রচণ্ড অবমাননাকর এবং তাদের এই যে বাহাস এটি রাজনৈতিক কৌতুক ছাড়া অন্য কিছু নয়।