“জনগণের ডেটা অনেক ক্ষেত্রে অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সাথেও জড়িত।”
নির্বাচনের আগে ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ: তৈয়্যব

- আপডেট সময় ০৯:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংক খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে তুলে ধরেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
দেশের শুধু ১৭ থেকে ২০টি ব্যাংকের ‘সাইবার স্পেস রেটিং’ সন্তোষজনক হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের ডেটা অনেক ক্ষেত্রে অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সাথেও জড়িত।”
মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে আর্থিক খাতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এবং এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে তৈয়্যব বলেন, “আর্থিক অপরাধ, জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডেটা সেন্টারের ঝুঁকি এখন ব্যাংকিং খাতের বড় হুমকি।”
ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে যারা কর্মরত এবং যে কোম্পানি থেকে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কেনা হয় সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা যাচাই বাছাই করে সেবা গ্রহণের ওপর তিনি গুরুত্বারাপ করেন। বলেন, কারণ হ্যাক হওয়ার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অনেক সময় জড়িত থাকেন।
“ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অন্তত ৭ থেকে ১০ শতাংশ সাইবার হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত।“
সেমিনারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ জোরদার এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যাংকের সঙ্গে ডেটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব করেন।
পুলিশের অপরাধ বিভাগ সিআইডির প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে এবং ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বাধা তৈরি করছে।
আলোচনায় ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা সমাধানে করণীয় বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করেন। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু ডিজিটাল ভবিষ্যৎ সুরক্ষাই নয়, বরং জনগণের আস্থা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সেমিনারে বক্তারা মতামত দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম