১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্বাচনের দিন ভোট বন্ধ করতে পারবে ইসি, বিল পাস

সংসদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধিত বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিরোধীদলের সদস্যদের আপত্তির মুখে বিলটি পাস হয়।

অনিয়ম হলে শুধু নির্বাচনের দিন ভোট বন্ধ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বেসরকারি ফলাফলের পর অনিয়মের অভিযোগে পুরো আসনের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’ উত্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলটি পাসের সময় জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলের সদস্যরা এর ওপর আপত্তি করেন। তারা দাবি করেন, এই সংশোধনীর মাধ‌্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

অনিয়মের অভিযোগ পেলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত কিংবা বাতিল করার ক্ষমতা এতদিন ভোগ করে আসছিল নির্বাচন কমিশন। গত বছরের অক্টোবরে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিত করে আলোচিত হয়েছিল বর্তমান কমিশন। এজন্য বিধানটি বহাল রাখার প্রস্তাব করেছিল ইসি। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনাও হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইসির ক্ষমতা কমিয়ে সংসদে পাস হলো বিল।

গত ৫ জুন আরপিও সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তখন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম তাতে আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করার পর কোনো আসনের পুরো ফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) ভোট কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে। এরপর তদন্তসাপেক্ষে ফলাফল বাতিল করে ওই সব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন দিতে পারবে ইসি।

 

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনের দিন ভোট বন্ধ করতে পারবে ইসি, বিল পাস

আপডেট সময় ১০:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

জাতীয় সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধিত বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিরোধীদলের সদস্যদের আপত্তির মুখে বিলটি পাস হয়।

অনিয়ম হলে শুধু নির্বাচনের দিন ভোট বন্ধ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বেসরকারি ফলাফলের পর অনিয়মের অভিযোগে পুরো আসনের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’ উত্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলটি পাসের সময় জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলের সদস্যরা এর ওপর আপত্তি করেন। তারা দাবি করেন, এই সংশোধনীর মাধ‌্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

অনিয়মের অভিযোগ পেলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত কিংবা বাতিল করার ক্ষমতা এতদিন ভোগ করে আসছিল নির্বাচন কমিশন। গত বছরের অক্টোবরে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিত করে আলোচিত হয়েছিল বর্তমান কমিশন। এজন্য বিধানটি বহাল রাখার প্রস্তাব করেছিল ইসি। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনাও হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইসির ক্ষমতা কমিয়ে সংসদে পাস হলো বিল।

গত ৫ জুন আরপিও সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তখন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম তাতে আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করার পর কোনো আসনের পুরো ফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) ভোট কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে। এরপর তদন্তসাপেক্ষে ফলাফল বাতিল করে ওই সব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন দিতে পারবে ইসি।