০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“এসব সংশোধনের কারণে নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাজে গতি পাবে। খুব দ্রুত তারা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে পারবেন।”

নির্বাচন কর্মকর্তা আইন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৭:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত দুটি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

 

নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত দুটি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদ করা হয়।

এছাড়া অর্থসংক্রান্ত অধ্যাদেশের একটি সংশোধনীও বৈঠকে পাস হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বসে।

পরে বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের আলোচ্যবিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, “এসব সংশোধনের কারণে নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাজে গতি পাবে। খুব দ্রুত তারা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

“নির্বাচন পরিচালনায় যারা অবহেলা করবেন তাদের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদের আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যারা দায়িত্বপালন করেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা। আগে শাস্তির বিষয়টিা স্পষ্ট ছিল না।”

এনবিআর সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, “এনবিআর আইনে যে পরিবর্তন আসছে সেটা হচ্ছে ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত। প্রতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। অর্থসংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে প্রেস সচিব জানান।

তিনি বলেন, “১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানান হয় যে, ৭৭টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি। বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।

“প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যেই বিষয়গুলো তারা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।”

অন্যদের মধ্যে উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“এসব সংশোধনের কারণে নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাজে গতি পাবে। খুব দ্রুত তারা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে পারবেন।”

নির্বাচন কর্মকর্তা আইন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন

আপডেট সময় ০৭:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত দুটি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদ করা হয়।

এছাড়া অর্থসংক্রান্ত অধ্যাদেশের একটি সংশোধনীও বৈঠকে পাস হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বসে।

পরে বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের আলোচ্যবিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, “এসব সংশোধনের কারণে নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাজে গতি পাবে। খুব দ্রুত তারা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

“নির্বাচন পরিচালনায় যারা অবহেলা করবেন তাদের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদের আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যারা দায়িত্বপালন করেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা। আগে শাস্তির বিষয়টিা স্পষ্ট ছিল না।”

এনবিআর সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, “এনবিআর আইনে যে পরিবর্তন আসছে সেটা হচ্ছে ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত। প্রতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। অর্থসংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে প্রেস সচিব জানান।

তিনি বলেন, “১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানান হয় যে, ৭৭টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি। বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।

“প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যেই বিষয়গুলো তারা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।”

অন্যদের মধ্যে উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম