০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
“যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে,” বলেন তিনি।

নির্বাচন ‘ভন্ডুলের’ অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও একটি জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

 

‘পতিত শক্তি’ গণ্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, “এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।”

শনিবার ১৩টি রাজনৈতিক দল ও একটি জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, “পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানা রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

“যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে কোন ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।”

মতবিনিময়কালে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতাও প্রত‍্যাশা করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারাও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৈঠকের পর যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

তিনি বলেন, “আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করতে চাই- প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা, তারিখ উনি (মুহাম্মদ ইউনূস) ঘোষণা করবেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষে আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও তফসিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় দিনে প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা নিয়ে বার্তা এল।

রাজধানী ঢাকার দিয়াবাড়িতে গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়, যাতে শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর রাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তারপর বুধবার এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ১২টি দল ও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারপ্রধান।

এরপর শনিবার ১৩টি দল ও একটি জোটের সঙ্গে যমুনায় ঘণ্টাব্যাপী সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদের মুশতাক হোসেন, জাকের পার্টির শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাসদ-মার্কসবাদীর মাসুদ রানা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে,” বলেন তিনি।

নির্বাচন ‘ভন্ডুলের’ অপচেষ্টা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৯:৩০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

 

‘পতিত শক্তি’ গণ্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, “এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।”

শনিবার ১৩টি রাজনৈতিক দল ও একটি জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, “পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানা রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

“যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে কোন ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।”

মতবিনিময়কালে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতাও প্রত‍্যাশা করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারাও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৈঠকের পর যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

তিনি বলেন, “আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করতে চাই- প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা, তারিখ উনি (মুহাম্মদ ইউনূস) ঘোষণা করবেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষে আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও তফসিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় দিনে প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা নিয়ে বার্তা এল।

রাজধানী ঢাকার দিয়াবাড়িতে গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়, যাতে শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর রাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তারপর বুধবার এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ১২টি দল ও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারপ্রধান।

এরপর শনিবার ১৩টি দল ও একটি জোটের সঙ্গে যমুনায় ঘণ্টাব্যাপী সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদের মুশতাক হোসেন, জাকের পার্টির শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাসদ-মার্কসবাদীর মাসুদ রানা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম