০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়ায় অস্থায়ী পূজা মণ্ডপের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় বলে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি জানান।

নেত্রকোণায় গভীর রাতে দুর্গা পূজার প্রতিমা ভাঙচুর

নেত্রকোণা প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোণা সদর উপজেলায় একটি মন্দিরে রাতের আঁধারে দুর্গা পূজার প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

নেত্রকোণা সদর উপজেলায় একটি মন্দিরে রাতের আঁধারে দুর্গা পূজার প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়ায় অস্থায়ী পূজা মণ্ডপের প্রতিমা সোমবার রাতের কোনো এক সময় ভাঙচুর করা হয় বলে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান।

কান্দুলিয়া দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিঠুন রায় মঙ্গলবার বলেন, “রাত আড়াইটা নাগাদ আমাদের লোকজন মণ্ডপে ছিলেন। পরে সকাল ৬টার দিকে মণ্ডপে গিয়ে কার্তিক ও অসুরের প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি নজরে আসে। কার্তিকের একটি হাত এবং অসুরের মাথা ভাঙা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

“আজ প্রতিমা শিল্পীকে আনিয়ে ভাঙচুর করা প্রতিমা ঠিকঠাক করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পূজা কমিটিসহ স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আজ থেকে মণ্ডপ সারারাত পাহারার জন্যে লোক রাখা হয়েছে।”

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রাত ৮টার দিকে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বলেন, “আমরা মামলা করতে থানায় যাচ্ছি।”

ওসি শাহনেওয়াজ বলেন, “ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির পরিদর্শনে যাই। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, ভাঙচুরকারীদের চিহ্ণিত করে আইনের আওতায় আনার জন্যে কাজ করছি।”

এ ব্যাপারে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন পণ্ডিত বলেন, “দুর্গা পূজার আয়োজনে মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরিসহ সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে কান্দুলিয়া মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি সবার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে। প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িত দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। আমরা চাই, নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে। এ লক্ষ্যে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”

জেলা পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, “আসন্ন দুর্গা পূজা আনন্দঘন পরিবেশে করতে সার্বিক নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বিধানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটি ও আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।”

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, “দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা আমাদের জন্যে একটি সংকেত, শিক্ষা। আমরা দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়ে কাজ করব।”

 

 

নেত্রকোণা প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়ায় অস্থায়ী পূজা মণ্ডপের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় বলে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি জানান।

নেত্রকোণায় গভীর রাতে দুর্গা পূজার প্রতিমা ভাঙচুর

আপডেট সময় ০২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

নেত্রকোণা সদর উপজেলায় একটি মন্দিরে রাতের আঁধারে দুর্গা পূজার প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

উপজেলার বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়ায় অস্থায়ী পূজা মণ্ডপের প্রতিমা সোমবার রাতের কোনো এক সময় ভাঙচুর করা হয় বলে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান।

কান্দুলিয়া দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিঠুন রায় মঙ্গলবার বলেন, “রাত আড়াইটা নাগাদ আমাদের লোকজন মণ্ডপে ছিলেন। পরে সকাল ৬টার দিকে মণ্ডপে গিয়ে কার্তিক ও অসুরের প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি নজরে আসে। কার্তিকের একটি হাত এবং অসুরের মাথা ভাঙা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

“আজ প্রতিমা শিল্পীকে আনিয়ে ভাঙচুর করা প্রতিমা ঠিকঠাক করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পূজা কমিটিসহ স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আজ থেকে মণ্ডপ সারারাত পাহারার জন্যে লোক রাখা হয়েছে।”

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রাত ৮টার দিকে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বলেন, “আমরা মামলা করতে থানায় যাচ্ছি।”

ওসি শাহনেওয়াজ বলেন, “ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির পরিদর্শনে যাই। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, ভাঙচুরকারীদের চিহ্ণিত করে আইনের আওতায় আনার জন্যে কাজ করছি।”

এ ব্যাপারে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন পণ্ডিত বলেন, “দুর্গা পূজার আয়োজনে মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরিসহ সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে কান্দুলিয়া মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি সবার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে। প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িত দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। আমরা চাই, নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে। এ লক্ষ্যে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”

জেলা পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, “আসন্ন দুর্গা পূজা আনন্দঘন পরিবেশে করতে সার্বিক নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বিধানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটি ও আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।”

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, “দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা আমাদের জন্যে একটি সংকেত, শিক্ষা। আমরা দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়ে কাজ করব।”

 

 

নেত্রকোণা প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম