রাষ্ট্রপতির দপ্তর বলছে, সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি পৌডেল প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নেপালে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত, নির্বাচন ৫ মার্চ

- আপডেট সময় ০১:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
নেপালে আগামী ৫ মার্চ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল।
শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে সুশীলা কার্কির শপথগ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির দপ্তর বলছে, সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি পৌডেল প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার নেপালের রাষ্ট্রপতি ভবনে স্থানীয় সময় রাত সেয়া ৯টায় তিনি শপথ সুশীলা কার্কি। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শপথ নেওয়ার পর কার্কি তার প্রথম সিদ্ধান্তে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন।
এদিন শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইতিহাস গড়েন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
নেপালের জেন-জি আন্দোলনকারী, প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার পরই কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে নেপালে গত তিন দিনের টানা বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতন হয়।
৭২ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন তিনি। সেটিও ছিল ইতিহাস। এখন আরও এক ইতিহাসের সাক্ষী হল হিমালয়ের দেশ নেপাল।
জেন-জি (তরুণ প্রজন্ম)- যাদের নেতৃত্বে আন্দোলনে পতন ঘটেছে কেপি শর্মা ওলি সরকারের, তাদের মধ্যে সুশীলা কার্কির জনপ্রিয়তা আছে।
সততা, ন্যায়বিচার, নিরপেক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য পরিচিত তিনি। বিশেষ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্কির কঠোর অবস্থানের জন্য তিনি জনপ্রিয়।
বিচারপতি থাকাকালে ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে সরাসরি সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হননি কার্কি।
তবে তার বিচারপতি জীবন ঝঞ্ঝাটমুক্ত ছিল না। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখা হয়। জনমতের চাপে শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। যদিও ঘটনাটি কার্কিকে হতাশ করেছিল এবং তিনি পরে পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এবার তার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। জেন-জি আন্দোলনে ওলি সরকারের পতনের পর নেপালের অস্থির পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজনের গুরুদায়িত্ব চেপেছে কার্কির উপরে।
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম