০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
করাচিতে স্বাধীনতা দিবস ও নতুন বছরের মতো উপলক্ষ্যগুলোতে উপরের দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের গুলিতে করাচিতে শিশুসহ নিহত ৩

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:২০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

শিশু বালিকাটি নাইন এমএম পিস্তলের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে করাচির পুলিশ জানিয়েছে। ছবি: পাকিস্তান টুডে

 

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে বৃহত্তম নগরী করাচিতে উদযাপনের উদ্দেশ্যে ছোড়া ফাঁকা গুলিতে এক শিশু বালিকাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব গুলির ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা দিবস ও নতুন বছরের আগের রাতের মতো উপলক্ষ্যগুলোতে উপরের দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও এ ধরনের গুলির ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন।

এক বিবৃতিতে পুলিশ সার্জন ডাঃ সুমাইয়া সৈয়দ জানিয়েছেন, উপরের দিকে ছোড়া ফাঁকা গুলিতে আহত মোট ১০৯ জনকে করাচির বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে তিনটি প্রধান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

তবে করাচি পুলিশের অতিরিক্ত আইজি জাভেদ আলমের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আহতের সংখ্যা ৬৭ জন বলে জানানো হয়েছে।

করাচির আজিজাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াকার কায়সার ডন ডটকমকে বলেছেন, “সাত বছরের এক বালিকা আজিজাবাদের ব্লক-বিতে তাদের তিন তলা বাড়ির বারান্দা থেকে স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজি দেখছিলো, এ সময় একটি গুলি ছুটে এসে তার মাথায় লাগে।

“কিছুক্ষণ পর তার মা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে তার মৃতদেহ নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে মাথা থেকে বুলেটটি বের করা হয়।”

বুলেটটি নাইন এমএম পিস্তল থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গুলির ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে দুটি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া গেছে। এগুলোর কোনোটি থেকে গুলিটি ছোড়া হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আওয়ামী কলোনি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নগরীর মডেল ফ্যামিলি পার্ক কোরাঙ্গি এলাকায় ছুটে আসা এক বিক্ষিপ্ত বুলেটের আঘাতে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

করাচির আগ্রা তাজ কলোনি এলাকায় ছুটে আসা আরেক বিক্ষিপ্ত গুলিতে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিহত হন। তিনি তার বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। করাচির সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

এসব ঘটনায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে ৬৮টি অবৈধে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

করাচিতে স্বাধীনতা দিবস ও নতুন বছরের মতো উপলক্ষ্যগুলোতে উপরের দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের গুলিতে করাচিতে শিশুসহ নিহত ৩

আপডেট সময় ০৫:২০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

 

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে বৃহত্তম নগরী করাচিতে উদযাপনের উদ্দেশ্যে ছোড়া ফাঁকা গুলিতে এক শিশু বালিকাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব গুলির ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা দিবস ও নতুন বছরের আগের রাতের মতো উপলক্ষ্যগুলোতে উপরের দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও এ ধরনের গুলির ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন।

এক বিবৃতিতে পুলিশ সার্জন ডাঃ সুমাইয়া সৈয়দ জানিয়েছেন, উপরের দিকে ছোড়া ফাঁকা গুলিতে আহত মোট ১০৯ জনকে করাচির বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে তিনটি প্রধান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।

তবে করাচি পুলিশের অতিরিক্ত আইজি জাভেদ আলমের দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আহতের সংখ্যা ৬৭ জন বলে জানানো হয়েছে।

করাচির আজিজাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াকার কায়সার ডন ডটকমকে বলেছেন, “সাত বছরের এক বালিকা আজিজাবাদের ব্লক-বিতে তাদের তিন তলা বাড়ির বারান্দা থেকে স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজি দেখছিলো, এ সময় একটি গুলি ছুটে এসে তার মাথায় লাগে।

“কিছুক্ষণ পর তার মা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে তার মৃতদেহ নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে মাথা থেকে বুলেটটি বের করা হয়।”

বুলেটটি নাইন এমএম পিস্তল থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গুলির ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে দুটি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া গেছে। এগুলোর কোনোটি থেকে গুলিটি ছোড়া হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আওয়ামী কলোনি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নগরীর মডেল ফ্যামিলি পার্ক কোরাঙ্গি এলাকায় ছুটে আসা এক বিক্ষিপ্ত বুলেটের আঘাতে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

করাচির আগ্রা তাজ কলোনি এলাকায় ছুটে আসা আরেক বিক্ষিপ্ত গুলিতে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিহত হন। তিনি তার বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন। করাচির সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

এসব ঘটনায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে ৬৮টি অবৈধে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম