পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকের চিঠিতে যা লিখেছেন নারী
- আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
- / ১৩০ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক থেকে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এবারও দান সিন্দুকের টাকার সঙ্গে পাওয়া গেছে একটি চিরকুট। এ ছাড়াও টাকার পাশাপাশি বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকারও মিলেছে।
শনিবার (৬ মে) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল ৮টায় মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকের টাকার সঙ্গে পাওয়া চিরকুটটি লিখেছেন পারভীন নামে এক নারী। তিনি চিরকুটে ছেলে-মেয়েকে ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়ার জন্য মানত করেছেন। পাশাপাশি নিজের শারীরিক সুস্থতাও কামনা করেছেন।
নিজের সমস্যাগুলো দূর হলে তিনি মসজিদের দান সিন্দুকে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথাও লিখেছেন চিরকুটে। ওই চিরকুটে পারভীন লিখেন, ‘আমার নাম পারভীন। আমার শরীর অনেক অসুস্থ। আমার পাগলা বাবার মসজিদে আসার অনেক ইচ্ছা ছিল, আসতে পারলাম না। পাগলা বাবার মসজিদে আমার আরজি যে, আমার ছেলে-মেয়েকে যেন ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারি। আমার শরীরে অনেক ব্যথা, আমি চলতে পারি না। আমার কিডনি সমস্যাও আছে। আমি পাগলা বাবার কাছে এই দোয়া চাই যেন, আমার এই সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়।
তাহলে আমি পাগলা বাবার মসজিদের দানবাক্সে দুই হাজার টাকা দিবো। আর আমি যদি ভালো থাকি, তাহলে আমি নিজেই আসবো। আমি তো শুনি, পাগলা বাবার কাছে যে আসে সবার মনের আশা পূরণ হয়। আমার আশাগুলো যেন পূরণ হয়। আমিন।’এলাকাবাসী ও মসজিদের খতিব সূত্রে জানা যায়, পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি ৩ মাস ৭ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৪ মাস পর ৮টি দান সিন্দুক খোলা হলো। দান সিন্দুকে পাওয়া টাকাগুলো গণনা চলছে।