০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচাল রাজস্থান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রায় শেষের দিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর। শেষ মুহূর্তে প্লে-অফের লড়াইয়ে জমজমাট টুর্নামেন্টটি। প্লে-অফের লড়াই নাকি নিয়মরক্ষার ম্যাচ, এ নিয়েও একাধিক কঠিন সমীকরণ। এমনই কঠিন সমীকরণে মাঠে নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালস।

যশস্বী জসওয়াল ও শিমরন হেটমায়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাব কিংসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজস্থান। আর এতে তৃতীয় দল হিসেবে এবারের আইপিএলের প্লে-অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। শুক্রবার (১৯ মে) ধর্মশালায় জয়ের সঙ্গে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার কঠিন সমীকরণ নিয়ে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাঞ্জাব।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বল ও ৪ উইকেট বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। তবে এ জয়েও সেরা চারে উঠতে পারেনি দলটি, নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে টেবিলের পাঁচে রাজস্থান। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই থাকা খায় পাঞ্জাব। মাত্র ২ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ফিরেন ওপেনার প্রভসিমরান সিং। এরপর অথর্ব তাইদেকে সঙ্গে নিয়ে রাজস্থানের বোলারদের ওপর চড়াও হন শেখর ধাওয়ান। তবে তিনিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ১২ বলে ১৭ রানে জাম্পার বলে ধাওয়ান ও ১২ বলে ১৯ রানে নবদীপ সাইনির বলে তাইদে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

তবে স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মার ৬৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রীতি জিনতার দল। এরপর জিতেশের ২৮ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও এবং শেষ ২ ওভারে ৪৮ রানের সুবাদে ১৮৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে সাইনি সর্বোচ্চ তিনটি এবং জাম্পা ও বোল্ট একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত শূন্য রানেই ফেরেন জস বাটলার।

তবে এ ওপেনার ফিরলেও ক্রিজে থিতু হতে থাকেন আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও তিনে নামা দেবদূত পাদিক্কাল। দুজনে মিলে ৪৯ বলে গড়েন ৭৩ রানের অনবদ্য জুটি। ব্যক্তিগত ৫১ রানে পাদিক্কাল ফেরার পর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও দ্রুতই ফিরে যায়। এরপর ক্যারিবীয় ব্যাটার হেটমায়ারের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির মালিক জসওয়াল। এ ম্যাচে অর্ধশতক নিশ্চিতের পর তিনিও ফিরে যান।

এরপর হেটমায়ার ও ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার ধ্রুব জুড়েলের নৈপুণ্যে ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজস্থানের। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে রাজস্থান। নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে চারে আছে এক ম্যাচ কম খেলা মুম্বাই। এখন শেষ চারে উঠতে হলে ভাগ্যের সহায়তা লাগবে গতবারের ফাইনালিস্টদের। তাই বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ের হারই প্রত্যাশা করবে রাজস্থান।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচাল রাজস্থান

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

প্রায় শেষের দিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর। শেষ মুহূর্তে প্লে-অফের লড়াইয়ে জমজমাট টুর্নামেন্টটি। প্লে-অফের লড়াই নাকি নিয়মরক্ষার ম্যাচ, এ নিয়েও একাধিক কঠিন সমীকরণ। এমনই কঠিন সমীকরণে মাঠে নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালস।

যশস্বী জসওয়াল ও শিমরন হেটমায়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাব কিংসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজস্থান। আর এতে তৃতীয় দল হিসেবে এবারের আইপিএলের প্লে-অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। শুক্রবার (১৯ মে) ধর্মশালায় জয়ের সঙ্গে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার কঠিন সমীকরণ নিয়ে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাঞ্জাব।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বল ও ৪ উইকেট বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। তবে এ জয়েও সেরা চারে উঠতে পারেনি দলটি, নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে টেবিলের পাঁচে রাজস্থান। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই থাকা খায় পাঞ্জাব। মাত্র ২ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ফিরেন ওপেনার প্রভসিমরান সিং। এরপর অথর্ব তাইদেকে সঙ্গে নিয়ে রাজস্থানের বোলারদের ওপর চড়াও হন শেখর ধাওয়ান। তবে তিনিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ১২ বলে ১৭ রানে জাম্পার বলে ধাওয়ান ও ১২ বলে ১৯ রানে নবদীপ সাইনির বলে তাইদে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

তবে স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মার ৬৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় প্রীতি জিনতার দল। এরপর জিতেশের ২৮ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও এবং শেষ ২ ওভারে ৪৮ রানের সুবাদে ১৮৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে সাইনি সর্বোচ্চ তিনটি এবং জাম্পা ও বোল্ট একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত শূন্য রানেই ফেরেন জস বাটলার।

তবে এ ওপেনার ফিরলেও ক্রিজে থিতু হতে থাকেন আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও তিনে নামা দেবদূত পাদিক্কাল। দুজনে মিলে ৪৯ বলে গড়েন ৭৩ রানের অনবদ্য জুটি। ব্যক্তিগত ৫১ রানে পাদিক্কাল ফেরার পর অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও দ্রুতই ফিরে যায়। এরপর ক্যারিবীয় ব্যাটার হেটমায়ারের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির মালিক জসওয়াল। এ ম্যাচে অর্ধশতক নিশ্চিতের পর তিনিও ফিরে যান।

এরপর হেটমায়ার ও ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার ধ্রুব জুড়েলের নৈপুণ্যে ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজস্থানের। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে রাজস্থান। নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে চারে আছে এক ম্যাচ কম খেলা মুম্বাই। এখন শেষ চারে উঠতে হলে ভাগ্যের সহায়তা লাগবে গতবারের ফাইনালিস্টদের। তাই বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ের হারই প্রত্যাশা করবে রাজস্থান।