০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
“আমাদের দু-একজনের কথা হয়ত ইসি শুনেছে, কিন্তু আমলে নেয়নি। আর এটাই হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি বৈষম্যের একটা চিত্র,” বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি।

পাহাড়ে সংসদীয় আসন বাড়িয়ে ৮টি করার দাবি

সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০২:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

 

পাহাড়ের তিন জেলা— রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সংসদীয় আসন তিন থেকে বাড়িয়ে আটটি করার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকজন।

সোমবার নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের বিষয়ে দাবি-আপত্তির শুনানিতে তারা এ দাবি তুলে ধরেন।

নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে শুনানির প্রথম দিন রোববার কুমিল্লা অঞ্চল এবং দ্বিতীয় দিন সোমবার খুলনা অঞ্চল, বরিশাল অঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দাবি-আপত্তির শুনানি হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি থেকে বেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শাহাদাত ফরাজি সাকিব বলেন, “আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষ থেকে একটি দাবি জানাতে চাই। সেটা হলো, তিনটি সংসদীয় আসনকে আটটি আসনে উন্নীত করে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নাগরিক অধিকার সমন্বিত রাখা।

“কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এ নির্বাচন কমিশন আমাদের কথা অতটা গুরুত্ব দিয়ে শোনেনি। কারণ, দিনভর শুনানি শুনতে শুনতে ওনারা বিরক্ত হয়ে গেছেন। আমাদের দু-একজনের কথা হয়ত শুনেছেন, কিন্তু কোনো আমলে নেননি। আর এটাই হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি বৈষম্যের একটা চিত্র।”

পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম শুনলেই তাদের মধ্যে কেমন যেন অনীহা কাজ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এরা পাহাড়ে, বনজঙ্গলে বসবাস করে, এদের আবার কিসের রাজনৈতিক অধিকার!”

“আমরা নতুন যে বাংলাদেশের বন্দোবস্তের কথা বলছি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের কথা যখন বলছি, তখন যদি আমাদেরকে বৈষম্য দূর করতে হয়, সর্বপ্রথম পার্বত্য চট্টগ্রামে জনমানুষের এই যে রাজনৈতিক অধিকার, সেটি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

বর্তমানে তিন জেলায় তিনটি আসন রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা ব্যক্তিরা খাগড়াছড়িতে তিনটি, রাঙ্গামাটিতে তিনটি এবং বান্দরবানে দুটি সংসদীয় আসন করার দাবি জানিয়েছেন।

যুক্তি হিসেবে রাঙ্গামাটির বাসিন্দা সৈয়দ ইবনে রহমত সাংবাদিকদের বলেন, “রাঙ্গামাটির সাজেক ইউনিয়নের যে আয়তন, সেটা ঢাকা জেলার আয়তনের চেয়ে বেশি। ঢাকা জেলায় ২০টি সংসদীয় আসন, সেখানে রাঙ্গামাটিতে একটি সংসদীয় আসন।”

তাদের দাবিতে রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি ও গুঁইমারা নিয়ে খাগড়াছড়ি-১, মাটিরাঙা, মহালছড়ি,পানছড়ি নিয়ে খাগড়াছড়ি-২ এবং সদর ও দীঘিনালা নিয়ে ছাগড়াছড়ি-৩ আসন গঠনের কথা বলা হয়েছে।

বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল নিয়ে রাঙ্গামাটি-১; সদর, কাউখালি ও ননিয়ারচর নিয়ে রাঙ্গামাটি-২ এবং জুডাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তা ও রাজস্বলী নিয়ে রাঙ্গামাটি-৩ আসন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সদর, রুমা, থানছি ও বোয়াংছড়ি নিয়ে বান্দরবান-১ এবং লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যাংছড়িকে নিয়ে বান্দরবান-২ আসন করার দাবি জানান তারা।

 

 

সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“আমাদের দু-একজনের কথা হয়ত ইসি শুনেছে, কিন্তু আমলে নেয়নি। আর এটাই হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি বৈষম্যের একটা চিত্র,” বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি।

পাহাড়ে সংসদীয় আসন বাড়িয়ে ৮টি করার দাবি

আপডেট সময় ০২:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

 

পাহাড়ের তিন জেলা— রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সংসদীয় আসন তিন থেকে বাড়িয়ে আটটি করার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকজন।

সোমবার নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের বিষয়ে দাবি-আপত্তির শুনানিতে তারা এ দাবি তুলে ধরেন।

নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে শুনানির প্রথম দিন রোববার কুমিল্লা অঞ্চল এবং দ্বিতীয় দিন সোমবার খুলনা অঞ্চল, বরিশাল অঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দাবি-আপত্তির শুনানি হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি থেকে বেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শাহাদাত ফরাজি সাকিব বলেন, “আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষ থেকে একটি দাবি জানাতে চাই। সেটা হলো, তিনটি সংসদীয় আসনকে আটটি আসনে উন্নীত করে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নাগরিক অধিকার সমন্বিত রাখা।

“কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এ নির্বাচন কমিশন আমাদের কথা অতটা গুরুত্ব দিয়ে শোনেনি। কারণ, দিনভর শুনানি শুনতে শুনতে ওনারা বিরক্ত হয়ে গেছেন। আমাদের দু-একজনের কথা হয়ত শুনেছেন, কিন্তু কোনো আমলে নেননি। আর এটাই হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি বৈষম্যের একটা চিত্র।”

পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম শুনলেই তাদের মধ্যে কেমন যেন অনীহা কাজ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এরা পাহাড়ে, বনজঙ্গলে বসবাস করে, এদের আবার কিসের রাজনৈতিক অধিকার!”

“আমরা নতুন যে বাংলাদেশের বন্দোবস্তের কথা বলছি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের কথা যখন বলছি, তখন যদি আমাদেরকে বৈষম্য দূর করতে হয়, সর্বপ্রথম পার্বত্য চট্টগ্রামে জনমানুষের এই যে রাজনৈতিক অধিকার, সেটি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”

বর্তমানে তিন জেলায় তিনটি আসন রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আসা ব্যক্তিরা খাগড়াছড়িতে তিনটি, রাঙ্গামাটিতে তিনটি এবং বান্দরবানে দুটি সংসদীয় আসন করার দাবি জানিয়েছেন।

যুক্তি হিসেবে রাঙ্গামাটির বাসিন্দা সৈয়দ ইবনে রহমত সাংবাদিকদের বলেন, “রাঙ্গামাটির সাজেক ইউনিয়নের যে আয়তন, সেটা ঢাকা জেলার আয়তনের চেয়ে বেশি। ঢাকা জেলায় ২০টি সংসদীয় আসন, সেখানে রাঙ্গামাটিতে একটি সংসদীয় আসন।”

তাদের দাবিতে রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি ও গুঁইমারা নিয়ে খাগড়াছড়ি-১, মাটিরাঙা, মহালছড়ি,পানছড়ি নিয়ে খাগড়াছড়ি-২ এবং সদর ও দীঘিনালা নিয়ে ছাগড়াছড়ি-৩ আসন গঠনের কথা বলা হয়েছে।

বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল নিয়ে রাঙ্গামাটি-১; সদর, কাউখালি ও ননিয়ারচর নিয়ে রাঙ্গামাটি-২ এবং জুডাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তা ও রাজস্বলী নিয়ে রাঙ্গামাটি-৩ আসন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সদর, রুমা, থানছি ও বোয়াংছড়ি নিয়ে বান্দরবান-১ এবং লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যাংছড়িকে নিয়ে বান্দরবান-২ আসন করার দাবি জানান তারা।

 

 

সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম