বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে।
পুষ্টি সঙ্কটে দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা, সতর্ক করল ইউনিসেফ

- আপডেট সময় ১২:৫৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে

অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ও স্থুলতা- এই ত্রিমুখী সমস্যা দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের পুষ্টি সঙ্কট মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে; আর সে কারণে এ অঞ্চলের কয়েক কোটি শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ও স্থুলতা- এই ত্রিমুখী সমস্যা দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের পুষ্টি সঙ্কট মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে; আর সে কারণে এ অঞ্চলের কয়েক কোটি শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে ইউনিসেফের প্রতিবেদন ‘ফিডিং প্রফিট: হাউ ফুড এনভায়রনমেন্টস আর ফেইলিং চিলড্রেন’ এর বরাত দিয়ে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী অতিরিক্ত ওজনের শিশুর সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়েছে। বর্তমানে এ অঞ্চলে এ ধরনের শিশুর সংখ্যা অন্তত ৭ কোটি।
ইউনিসেফ বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় অর্ধেক (৪৮ শতাংশ) স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, তাদের স্কুলে ক্যান্টিন বা খাবারের দোকান আছে। তবে সেখানে স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, ফাস্ট ফুড, চিনি মেশানো পানীয় বেশি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এ প্রবণতা আরও প্রকট জানিয়ে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলে প্যাকেটজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুডের প্রাচুর্য রয়েছে। তবে সেখানে রান্না করা খাবার, শাকসবজি ও ফল তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৮ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, স্কুলের মত গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর খাবার সহজলভ্য হওয়ার বিষয়টি ভবিষ্যতে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
‘ফিডিং প্রফিট: হাউ ফুড এনভায়রনমেন্টস আর ফেইলিং চিলড্রেন’ শীর্ষক গবেষণায় চারটি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে ইউনিসেফ।
১. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ওপর প্রভাব ফেলছে।
২. নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিদ্যালয়গামী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের হার দ্রুততম।
৩. পুষ্টিহীনতার রূপ হিসেবে স্থুলতা বা ওবেসিটি কম ওজনকে ছাড়িয়ে গেছে।
৪. শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের খাদ্য তালিকায় অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ বেশি থাকছে, এরমধ্যে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারও রয়েছে।