১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
“আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই,” বিবৃতিতে বলেন বিএনপির মহাসচিব।

প্রকাশ্যে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যা: বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠনের ৫ জন বহিষ্কার

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনের সড়কে বুধবার ৯ জুলাই প্রকাশ্যে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়।

 

রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে যুবদলের দুইজন, স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন এবং ছাত্রদলের দুইজন নেতাকর্মী রয়েছেন।

তারা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি; স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’ এবং ছাত্রদলের চকবাজার শাখার সদস্য সচিব অপু দাস ও মাহমুদুল হাসান মাহিন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এদের আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত সংগঠনগুলো পৃথকভাবে নিয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে যুবদলের দুইজন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন এ হত্যা মামলার আসামি বলে সংগঠন দুটির পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনের সড়কে বুধবার ৯ জুলাই প্রকাশ্যে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত এল বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলোর তরফে।

 

‘বিএনপির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার সম্পর্ক নেই’

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘এই পৈশাচিক ঘটনা শুধু একটি জীবনহানির নয়- এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর হতাশার বহি:প্রকাশ। আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই।”

অপরাধীরা কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উল্লিখিত নির্মম ঘটনাটি দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত পৈশাচিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করবে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ ঘটনার অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনে বলেন, “প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।”

বিবৃতিতে নিহত ব্যবসায়ীর আত্মার মাগফেরাত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বিএনপি যেকোনো রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করছি এবং ক্ষেত্র বিশেষে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দলের যেকোনো স্তরের নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে দলের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে থাকার কথা আবারও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দলের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা কঠোরভাবে দমন করে গ্রেপ্তার, তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

 

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই,” বিবৃতিতে বলেন বিএনপির মহাসচিব।

প্রকাশ্যে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যা: বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠনের ৫ জন বহিষ্কার

আপডেট সময় ১২:৩০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে যুবদলের দুইজন, স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন এবং ছাত্রদলের দুইজন নেতাকর্মী রয়েছেন।

তারা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি; স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’ এবং ছাত্রদলের চকবাজার শাখার সদস্য সচিব অপু দাস ও মাহমুদুল হাসান মাহিন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এদের আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত সংগঠনগুলো পৃথকভাবে নিয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে যুবদলের দুইজন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন এ হত্যা মামলার আসামি বলে সংগঠন দুটির পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনের সড়কে বুধবার ৯ জুলাই প্রকাশ্যে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত এল বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলোর তরফে।

 

‘বিএনপির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার সম্পর্ক নেই’

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘এই পৈশাচিক ঘটনা শুধু একটি জীবনহানির নয়- এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর হতাশার বহি:প্রকাশ। আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই।”

অপরাধীরা কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উল্লিখিত নির্মম ঘটনাটি দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত পৈশাচিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করবে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ ঘটনার অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনে বলেন, “প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।”

বিবৃতিতে নিহত ব্যবসায়ীর আত্মার মাগফেরাত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বিএনপি যেকোনো রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করছি এবং ক্ষেত্র বিশেষে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দলের যেকোনো স্তরের নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে দলের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে থাকার কথা আবারও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দলের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা কঠোরভাবে দমন করে গ্রেপ্তার, তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

 

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম