০৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্যসেবা সারাদেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিকের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেও জানতাম না যে প্রস্তাবটি (কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে) কখন জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়েছিল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আমাকে অবহিত করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ এখনও মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারেনি। তারা চাইলে আমরা তাদের কাছে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সীমিত সম্পদ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার ১১ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে এবং ৪ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে।

এরপর দারুণ সাফল্য আসায় সরকার অনুপ্রাণিত হয়ে ১১ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা তা করতে ব্যর্থ হয়।তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারা মনে করেছিল সেখান থেকে চিকিৎসা নেওয়া জনগণ নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করি, যাতে এটি আর কেউ বন্ধ করতে না পারে। শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড, বোমা ও বুলেট হামলার পরও আমি বেঁচে আছি বলে আল্লাহর কাছে আমার সকল কৃতজ্ঞতা। আমি এখনও দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

স্বাস্থ্যসেবা সারাদেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিকের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেও জানতাম না যে প্রস্তাবটি (কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে) কখন জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়েছিল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আমাকে অবহিত করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক দেশ এখনও মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারেনি। তারা চাইলে আমরা তাদের কাছে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সীমিত সম্পদ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার ১১ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে এবং ৪ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে।

এরপর দারুণ সাফল্য আসায় সরকার অনুপ্রাণিত হয়ে ১১ হাজার বাড়িতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা তা করতে ব্যর্থ হয়।তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। কারণ, তারা মনে করেছিল সেখান থেকে চিকিৎসা নেওয়া জনগণ নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করি, যাতে এটি আর কেউ বন্ধ করতে না পারে। শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড, বোমা ও বুলেট হামলার পরও আমি বেঁচে আছি বলে আল্লাহর কাছে আমার সকল কৃতজ্ঞতা। আমি এখনও দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।