পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় এক বিনিয়োগকারীকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আরেকজনকে জরিমানার পাশাপাশি ৫ বছর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
ফরচুন শেয়ারে কারসাজি: হিরু, আইসিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় বিএসইসি

- আপডেট সময় ০১:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ফরচুন স্যুজ লিমিটেডের শেয়ার ‘কারসাজি’ করার দায়ে আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ফরচুন স্যুজ লিমিটেডের শেয়ার ‘কারসাজি’ করার দায়ে আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
একই সঙ্গে সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তার পাশাপাশি ফরচুনের শেয়ার কারসাজির ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কিছু কর্মকর্তার বিষয়েও দুদকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মঙ্গলবার কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের তথ্য দেওয়া হয়, যাতে শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে শেখ ফারুক আহমেদ নামে এক বিনিয়োগকারীকে ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সমবায় কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করার দায়ে একাধিকবার বড় অঙ্কের জরিমানা করে বিএসইসি।
সবশেষ সভায় ফরচুন স্যুজ এর শেয়ার লেনদেনের কারসাজির বিষয়ে বিএসইসির ‘অনুসন্ধান’ ও ‘তদন্ত প্রতিবেদন’ দুদকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বড় অঙ্কের জরিমানা
কমিশন সভায় ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে একই বছরের ৫ জুলাই পর্যন্ত নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজি করায় রিয়াজ আহমেদ সরকারকে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই সময়ে এ শেয়ার কারসাজি করার দায়ে আরও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে আবুল বাসারকে ৪ কোটি দুই লাখ টাকা, সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিংকে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা, মো. সেলিমকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ও মো. জামিলকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর সময়ে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে কারসাজির ঘটনায় অনুসন্ধান শেষে করেছে বিএসইসি। এতে সম্পৃক্ততা থাকায় এনআরবি ব্যাংকের তৎকালীন প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে ৭৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে কমিশন।
একইসঙ্গে তাকে পুঁজিবাজারের কোনো প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত হওয়াসহ ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
একই ঘটনায় শেখ ফারুক আহমেদ নামের এক বিনিয়োগকারীকে ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।