০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
জেলার পাঁচটি উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনুমানিক ২৯ হাজার ৭০০ মানুষ।

ফেনীতে এখনো পানিবন্দি প্রায় ৭ হাজার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলায় মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি উপচে সৃষ্ট বন্যার কারণে এখনো পানিবন্দি আছে ৬ হাজার ৯৫০টি পরিবার।

 

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলায় মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি উপচে সৃষ্ট বন্যার কারণে এখনো পানিবন্দি আছে ৬ হাজার ৯৫০টি পরিবার।

সোমবার জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান কেন্দ্রের (এনডিআরসিসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার ১৯টি এবং ফুলগাজী উপজেলার ১৭টি মিলে মোট ৩৬টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ১৩৭টি (পরশুরাম ৪৪টি, ফুলগাজী ৬৭টি, ছাগলনাইয়া ১৫টি, ফেনী সদর ৯টি এবং দাগনভূঞা দুটি) গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।

বর্তমানে ১৩০টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশঃ উন্নতি হচ্ছে। জেলার সকল নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনুমানিক ২৯ হাজার ৭০০ মানুষ। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশ ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন।

বর্তমানে ৮৮টি পরিবারের ৩৬৫ জন তিনটি উপজেলায় ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে (পরশুরামে একটি, ফুলগাজীতে চারটি ও দাগনভূঁঞায় একটি) অবস্থান করছেন।

ত্রণ ও পুনর্বাসনের জন্য ফেনী জেলা প্রশাসনের নেওয়া কিছু কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

>> ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, দাগনভূঁঞা ও ফেনী সদর উপজেলায় ত্রাণ হিসেবে নগদ ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৬০ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে।

>> ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়েছে।

>> ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঁঞা উপজেলায় যথাক্রমে ৯৯টি, ৩৬টি, ২২টি, ১১টি, ৬২টি মোট ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

>> ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলায় এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধিদের ৭২টি লাইফ জ্যাকেট, ১৬টি গামবুট এবং ৩৯টি রেইনকোট দেওয়া হয়েছে।

>> ফেনী সদর, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোট ১০টি ফাইবার বোট সরবরাহ করা হয়েছে।

>> আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

>> জেলা ও উপজেলায় দুই হাজার ৫৪৭ জন দক্ষ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্য থেকে পরশুরাম, ফুলগাজী এবং ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন।

>> বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৌযানসহ উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহায়তা করছে।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

জেলার পাঁচটি উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনুমানিক ২৯ হাজার ৭০০ মানুষ।

ফেনীতে এখনো পানিবন্দি প্রায় ৭ হাজার পরিবার

আপডেট সময় ০৯:৩৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলায় মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি উপচে সৃষ্ট বন্যার কারণে এখনো পানিবন্দি আছে ৬ হাজার ৯৫০টি পরিবার।

সোমবার জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান কেন্দ্রের (এনডিআরসিসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার ১৯টি এবং ফুলগাজী উপজেলার ১৭টি মিলে মোট ৩৬টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ১৩৭টি (পরশুরাম ৪৪টি, ফুলগাজী ৬৭টি, ছাগলনাইয়া ১৫টি, ফেনী সদর ৯টি এবং দাগনভূঞা দুটি) গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।

বর্তমানে ১৩০টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশঃ উন্নতি হচ্ছে। জেলার সকল নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনুমানিক ২৯ হাজার ৭০০ মানুষ। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশ ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন।

বর্তমানে ৮৮টি পরিবারের ৩৬৫ জন তিনটি উপজেলায় ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে (পরশুরামে একটি, ফুলগাজীতে চারটি ও দাগনভূঁঞায় একটি) অবস্থান করছেন।

ত্রণ ও পুনর্বাসনের জন্য ফেনী জেলা প্রশাসনের নেওয়া কিছু কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

>> ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, দাগনভূঁঞা ও ফেনী সদর উপজেলায় ত্রাণ হিসেবে নগদ ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৬০ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে।

>> ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়েছে।

>> ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঁঞা উপজেলায় যথাক্রমে ৯৯টি, ৩৬টি, ২২টি, ১১টি, ৬২টি মোট ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

>> ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলায় এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধিদের ৭২টি লাইফ জ্যাকেট, ১৬টি গামবুট এবং ৩৯টি রেইনকোট দেওয়া হয়েছে।

>> ফেনী সদর, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোট ১০টি ফাইবার বোট সরবরাহ করা হয়েছে।

>> আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

>> জেলা ও উপজেলায় দুই হাজার ৫৪৭ জন দক্ষ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্য থেকে পরশুরাম, ফুলগাজী এবং ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন।

>> বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৌযানসহ উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহায়তা করছে।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম