০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিজিবি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ফেলানীর ছোট ভাই।

ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পেলেন বিজিবিতে, স্বজনদের স্বপ্ন পূরণ

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন বিজিবি লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম।

 

প্রায় ১৫ বছর আগে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। সেই সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর নিথর দেহের ছবি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

আলোচিত সেই ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেন এবার নিয়োগ পেয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)। ফেলানীর ছোট ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণে আবেগাপ্লুত স্বজনরা।

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন বিজিবি লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি আরফান হোসেন বিজিবি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।

আরফান হোসেন বলেন, “বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানী হত্যার পর মানুষ যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হল।”

দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান ফেলানীর ছোট ভাই আরফান।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, “ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী আর বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে ছিল। দোকান করে দিয়ে সহায়তা করেছে।

“আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেল। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। তবে আগের সরকার আমার পরিবারকে পুনর্বাসনের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি। বর্তমান সরকার আমার সন্তানকে চাকরি দিয়ে যে উপকার করল, তা জীবনে ভুলব না।”

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেবে। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন বলে আমরা বিশ্বাস।”

ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৫ বছর বয়সি ফেলানী খাতুন নিহত হন। সেই থেকে দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই করে আসছে ফেলানীর পরিবার।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজিবি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ফেলানীর ছোট ভাই।

ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পেলেন বিজিবিতে, স্বজনদের স্বপ্ন পূরণ

আপডেট সময় ০৭:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

প্রায় ১৫ বছর আগে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। সেই সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর নিথর দেহের ছবি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

আলোচিত সেই ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেন এবার নিয়োগ পেয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)। ফেলানীর ছোট ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণে আবেগাপ্লুত স্বজনরা।

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন বিজিবি লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি আরফান হোসেন বিজিবি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।

আরফান হোসেন বলেন, “বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানী হত্যার পর মানুষ যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হল।”

দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান ফেলানীর ছোট ভাই আরফান।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, “ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী আর বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে ছিল। দোকান করে দিয়ে সহায়তা করেছে।

“আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেল। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। তবে আগের সরকার আমার পরিবারকে পুনর্বাসনের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করেনি। বর্তমান সরকার আমার সন্তানকে চাকরি দিয়ে যে উপকার করল, তা জীবনে ভুলব না।”

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেবে। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন বলে আমরা বিশ্বাস।”

ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৫ বছর বয়সি ফেলানী খাতুন নিহত হন। সেই থেকে দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই করে আসছে ফেলানীর পরিবার।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম