বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থা দেখে এখানকার শিল্পীরাও কলকাতামুখী হচ্ছে। সিনেমা হল তো বন্ধ হবেই।”
বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স শুক্রবার থেকে বন্ধ ঘোষণা

- আপডেট সময় ০৮:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
লোকসানের ভারে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স শুক্রবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।
লোকসানের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে দাবি করে বৃহস্পতিবার সিনেপ্লেক্সের মালিক রোকনুজ্জামান ইউনুস বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির এই উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে একদিকে শিল্পী সংকট, নায়ক শাকিব খান থাকলে দর্শক ছবি দেখতে চায়। আধুনিক টেকনিশিয়ানেরও অভাব। মোবাইলে ল্যাপটপে এখন যারা ছবি দেখেন তারা কারিশমা পছন্দ করছেন। বাংলাদেশে তৈরি ছবির সেই কারিশমা নেই।”
যৌথ প্রযোজনার ছবিতে দর্শকদের চাহিদা মেটানোর উপাদান থাকে তুলে ধরে রোকনুজ্জামান বলেন, “যৌথ প্রযোজনায় ছবি করতে গেলে ভারতীয় শিল্পী বেশি টাকায় আনতে হয়। অনেকেই তাই এ কাজে হাত দিচ্ছেন না। বাংলা চলচ্চিত্রের অবস্থা দেখে এখানকার শিল্পীরাও কলকাতামুখী হচ্ছে। সিনেমা হল তো বন্ধ হবেই।”

তার দাবি, সংস্কৃতি উপদেষ্টা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে তারা দেখা করতে গিয়েও দেখা করতে পারেননি। কদিন আগে সচিবের সাথে দেখা করেছেন।
মধুবন সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার বলেন, “এক বছর হল, দেখাদেখির মাঝে আছে। আসলে চলচ্চিত্র শিল্প কোথায় নিয়ে যেতে চান তারা।”
মালিক পক্ষ বলছে, ১৯৭৪ সালে ‘রাজ মহল’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে সিনেমা হলটির যাত্রা শুরু হয়। তারপর বেশ কিছু বছর অশ্লীল ছবির কারণে হলটি বন্ধ রাখা হয়। ২০১২ সালে ৪ কোটি টাকা খরচ করে ডিজিটাল ভার্সন যোগ করে মধুবন সিনেপ্লেক্স নামে চালু করা হয়। সারা দেশের মত বগুড়ায়ও একের পর এক হল বন্ধ হয়ে গেলেও মধুবন চলছিল পুরোদমে। কিন্তু এখন বিদেশি ছবি আনতে না দেওয়ায় এবং নিম্নমানের দেশি ছবির দর্শক না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই হলটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
মধুবনে ২২ জন কর্মী কাজ করেন, যাদের মাসিক বেতন সোয়া লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিল দেড় লাখ টাকা দিয়ে দেশি ছবিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতিমাসে।
চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালেও বাংলাদেশে সিনেমা হল ছিল ১৪০০। বন্ধ হতে হতে এখন চালু সংখ্যার দাঁড়িয়েছে ৩০টিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম