০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর শান্তির দর্শন আজও অনুপ্রাণিত করে : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান সবসময়ই বিশ্বের শান্তিকামী মানুষদের সমর্থন করেছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তার শান্তির দর্শন আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

মঙ্গলবার(২৩ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবন ছিল শান্তির সাধনায় উৎসর্গকৃত। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকা শান্তি সম্মেলনে পদক গ্রহণোত্তর ভাষণে তিনি তাই যথার্থই ঘোষণা করতে পেরেছিলেন যে তার জীবনের মূলনীতিই হলো শান্তি।

বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন একটি শোষণ বঞ্চনামুক্ত শান্তিময় বিশ্বের। আলজেরিয়ায় ন্যাম সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুইভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, তার মধ্যে কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, ছিল বাংলার শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য শান্তির স্বপ্নও। তার নীতি ও আদর্শ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তর প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় সবাই এগিয়ে আসবেন; এ আমার প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বশান্তির একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য গৌরব ও আনন্দের। আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুর শান্তির দর্শন আজও অনুপ্রাণিত করে : রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ১১:৪৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান সবসময়ই বিশ্বের শান্তিকামী মানুষদের সমর্থন করেছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তার শান্তির দর্শন আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

মঙ্গলবার(২৩ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবন ছিল শান্তির সাধনায় উৎসর্গকৃত। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকা শান্তি সম্মেলনে পদক গ্রহণোত্তর ভাষণে তিনি তাই যথার্থই ঘোষণা করতে পেরেছিলেন যে তার জীবনের মূলনীতিই হলো শান্তি।

বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন একটি শোষণ বঞ্চনামুক্ত শান্তিময় বিশ্বের। আলজেরিয়ায় ন্যাম সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুইভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন, তার মধ্যে কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, ছিল বাংলার শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য শান্তির স্বপ্নও। তার নীতি ও আদর্শ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তর প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় সবাই এগিয়ে আসবেন; এ আমার প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বশান্তির একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য গৌরব ও আনন্দের। আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।